প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর গ্যাসের সংকট থাকবে না। আগামী বছরের শুরুতে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হবে এবং বছরের মাঝামাঝি আরও ৫০ কোটি ঘনফুট আমদানি হবে। ফলে এখনকার চেয়ে গ্যাসের ৩৭ শতাংশ সরবরাহ বাড়বে। এতে গ্যাসের সংকট আর থাকবে না। তবে গ্যাসের দাম বাড়বে। ব্যবসায়ীদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

বুধবার মতিঝিলের চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) মধ্যাহ্নভোজের সভায় তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন।সভায় স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাত নিয়ে কিছু বিষয় এখন ব্যবসায়ীদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রথমত, মানসম্মত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রাপ্যতা, দ্বিতীয়ত দামের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতে দাম কত হতে পারে তার পূর্বাভাস।নিহাদ কবির বলেন, এখন গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তবে চাপ কম থাকে। বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকে, যা দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিন চালানো যায় না।অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা মধ্য মেয়াদে গ্যাসের দাম স্থিতিশীল রাখা ও ভবিষ্যতে দাম কত হবে, তার একটি পূর্বাভাসব্যবস্থা রাখার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, দাম কেমন থাকবে আগে থেকে বুঝতে পারলে ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা করা যায়।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, মধ্য মেয়াদে এলএনজির দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং দাম নাগালে থাকবে।অনুষ্ঠানে এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি লায়লা রহমান কবির, তপন চৌধুরী, সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আনিস এ খান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন।সমাপনী বক্তব্যে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমাদের গ্যাস-বিদ্যুৎ দিন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।