সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপির গুম, খুন ও সন্ত্রাসের নজিরবিহীন রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। শুক্রবার ফেনীর মহিপালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক সপ্তাহ ধরে সরাসরি মনিটরিং করছেন ঈদ যাত্রা যেন নিরাপদ হয়। যাতে মানুষ নিরাপদে নির্বিঘেœ বাড়ি গিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বেশি বেশি সতর্ক অবস্থানে থাকার কারণে ঘরমুখো মানুষের এবারের ঈদ যাত্রা ছিল অন্যবারের তুলনায় ছিল আরো স্বস্তিদায়ক। মাঠে সচেষ্ট ছিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ, সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা, আনসার-ভিডিপি ও কমিউনিটি পুলিশ। স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করায় তিনি প্রতিটি দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দেশের বন্যার্ত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামত করতে ইতোমধ্যে সরকার অর্থ বরাদ্ধ দিয়েছেন। সেসব ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামত করতে ও বন্যার্ত এলাকায় রাস্তা চলাচল সচল রাখতে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা সর্বদা মাঠে রয়েছে। রাস্তায় মোবাইল টিম রয়েছে। সেখানে গর্ত, সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফিরতে কষ্ট না হয়।ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পত্র-পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সড়কের যেসব চিত্র উঠে এসেছিল আমাদের কাজ করতে আরো সহজ হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার আজ শেষ দিন, নির্বিঘেœ নিরাপদে সাধারণ মানুষের চলাচল নিশ্চিত করতে সর্বোপরি সব ধরনের বিপদ মোকাবেলা করতে আমরা রাস্তায় আছি।
চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর রূপা হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যে মেয়েটির স্বপ্ন ছিল এডভোকেট হবে, দু:খী মানুষকে আইনসেবা দিবে। সেই মেয়েটি নিজেই আইনের আশ্রয় নেয়ার আগে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু ঘটেছে’। তিনি বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সমাজের খুবই খারাপ লোক। এধরনের খারাপ মানুষ যাতে গাড়ির ড্রাইভার-হেলপার হতে না পারে সে ব্যাপারে গাড়ির মালিকদের সচেষ্ট থাকতে হবে। ধর্ষণের পর রূপা হত্যার ঘটনাটি পাশবিক ও নৃশংস ঘটনা। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে সমাজে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে সক্রিয় থাকতে হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহাব উদ্দিন, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।