সাভারে ট্যানারি শিল্পের প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক আবাসন, হাসপাতাল ও শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবন পার করছে করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সোমবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)’ ৪৫৫ জন ট্যানারি শ্রমিককে নিয়ে করা এক গবেষণার ফল প্রকাশ করে।রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে চলতি বছর সাভারে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর করা হয়।গবেষণায় সানেম বলছে, সাভারে জীবন ধারণের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল ও ক্যান্টিন সুবিধা নেই বলে স্থানান্তরিত শ্রমিকদের ৯২ শতাংশের অভিযোগ। এছাড়া জুলাই-অগাস্টের বেতনসহ ট্যানারি মালিকদের থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি প্রায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিক।র্যাপিড এসেসমেন্ট অব হাজারীবাগ ট্যানারিজ’ শিরোনামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্র পাঠ করেন সানেম চেয়ারম্যান ড. বজলুল খন্দকার।
এতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু ইউসুফ বক্তব্য রাখেন।ট্যানারি শ্রমিকদের মজুরি ও জীবন ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সানেম বলছে, অধিকাংশ শ্রমিক দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে।পরিবার নিয়ে দারিদ্র্যসীমার ওপরে বাস করতে যেখানে একজন ট্যানারি শ্রমিকের মাসিক বেতন নূন্যতম ১১ হাজার ১৩০ টাকা হওয়া প্রয়োজন, সেখানে তাদের সর্বনিন্ম বেতন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।ট্যানারি স্থানান্তরের পর চাকরির নিশ্চয়তা এবং সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে তাদের আবাসন ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছিল শ্রমিকরা।সাভারে বিসিক শিল্প নগরীতে আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল, ক্যান্টিন ও ইউনিয়ন (সিবিএ) কার্যালয়ের ব্যবস্থা করা, জরুরি কাজের সুযোগ এবং অন্তর্বর্তী ভাতা আদায়ের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ রেখে দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে ট্যানারি শ্রমিকরা।সঙ্কট নিরসনে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রমিকদের জুলাই-অগাস্টের বেতনসহ প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ এবং ছয় থেকে ১৮ মাসের মধ্যে আবাসন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতের পরামর্শ দেয় দেশি-বিদেশি অর্থনীতিবিদদের প্ল্যাটফর্ম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম।