পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলার পর পুলিশ ২৩টি জঙ্গি বিরোধী অপারেশন সফলতার সাথে পরিচালনা করেছে। এসব অপারেশন দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।জঙ্গি দমনে পুলিশের অনবদ্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গি দমনে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
আইজিপি রোববার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়ায় ‘অপারেশন টেপিড পাঞ্চ এবং সর্বশেষ রাজধানীর পান্থপথে ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ অভিযানে অংশগ্রহণকারী সিটিটিসি এবং ডিএমপি সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ইন্টেলিজেন্স এন্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স) মোঃ মনিরুজ্জামান সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত বিভিন্ন জঙ্গি বিরোধী অভিযানের তথ্য সভায় তুলে ধরেন।
সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম-কমিশনার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট উপ-পুলিশ কমিশনারগণ বক্তব্য রাখেন।এ সময় ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) মোঃ মহসিন হোসেন, ডিআইজি (লজিস্টিকস্) মিলি বিশ্বাস, ডিআইজি (এইচআর) রৌশন আরা বেগম, ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিটিটিসি ও ডিএমপি’র সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।আইজিপি বলেন, সিটিটিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অগ্রযাত্রা দিন দিন বাড়ছে। সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং পেশাদারিত্বের ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে।তিনি বলেন, আমরা ইন্টেলিজেন্স লেড’ পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। সঠিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কারণেই আমরা জঙ্গি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।শহীদুল হক সকল জঙ্গি অভিযান পরিচালনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের সাফল্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।পরে আইজিপি সফলভাবে জঙ্গি বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ আবদানের জন্য ডিএমপি কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধানের হাতে প্রণোদনার অর্থ তুলে দেন।