স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বন্যা প্লাবিত অঞ্চলে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলের প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল টিমগুলোকে দুর্গত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। সম্ভব হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।তিনি জানান, ইতোমধ্যে প্লাবিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ পর্যাপ্ত পরিমানে পাঠানো হয়েছে। আরো ঔষধ মজুদ আছে। সেবা প্রদানে বিচ্যুতির কোনো অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিকিৎসক দলগুলোর সেবা কার্যক্রম বন্যা পরবর্তী সময়েও চলবে।সভায় জানানো হয়, বন্যা প্লাবিত ১২৩টি উপজেলায় সরকারের ৩ হাজার ৪৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আয়োজনে পৃথক পৃথক চিকিৎসক দলও দুর্গতদের চিকিৎসার্থে কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও বন্যার কারণঘটিত অন্য কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেনি বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় জাতীয় কাউন্সিলের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে গৃহীত বিভিন্ন নির্দেশনা ও কর্মসূচির অগ্রগতি সম্পর্কেও সভায় পর্যালোচনা করা হয়।সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা সিকদার, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল ইসলাম, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হকসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।