বিচারের মুখোমুখি না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তের পর হঠাৎ করেই তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে তার দলীয় সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে। তবে তিনি থাইল্যান্ড ছেড়ে কোন দেশে পালিয়েছেন তা এখনও কেউ জানাতে পারেনি। এর আগে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেউথ চ্যান-ওচা জানান, ‘দেশের সবগুলো বর্হিগমন পথে নজর রাখা হচ্ছে। ইংলাকের আদালতে না যাওয়ার খবর শোনার পর আমি সীমান্তে নজরদারি জোড়দারের নির্দেশনা দিয়েছি।’

শুক্রবার তার বিরুদ্ধে চালের ভর্তুকি কর্মসূচিতে অবহেলা সংক্রান্ত মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির না হয়ে সময় চান থাইল্যান্ডের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে আদালত তার অসুস্থতার কারণ দেখানোয় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তার জামিন বাতিল করে দেয়। এছাড়া আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করে। দুই বছর ধরে চলা এই বিচার প্রক্রিয়ায় দোষী প্রমানিত হলে ১০ বছরের জেলসহ সারা জীবনের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন সিনাওয়াত্রা।

২০১১ সালে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে চালের ভর্তুকি কর্মসূচিতে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হওয়ায় ২০১৪ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এছাড়া ইংলাকের বিরুদ্ধে তার ভাই ও থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। তবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সবসময় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এরপর ২০১৫ সালে সেনাসমর্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।