সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বুধবারের ধার্য দিনে আদালতে জমা পড়েনি।আগামী ৮ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক। এ নিয়ে ৫০ বার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পেছাল। এখন মামলাটি তদন্ত করছে র্যাব।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ মেলে।সাগর-রুনি হত্যাকান্ডে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। ৪৮ ঘণ্টা থেকে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই মামলার ফলাফল এখনো শূন্য।
মামলাটি প্রথম তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। তারপর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দেওয়া হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত র্যাব এই ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাটি আদালতের কাছে বারবার সময় চেয়ে আসছে। আদালত প্রতিবারই সময় মঞ্জুর করেছেন।চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বিচারের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ সত্ত্বেও মামলাটি বস্তুত থেমে রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো কিছু আলামতের পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আগে থেকে বলে আসছিলেন র্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু সেসব প্রতিবেদন তাঁরা হাতে পাওয়ার পরেও মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি।