বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার কেউ যাতে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে না পারে সে জন্যই ১৫ এবং ২১ আগষ্টের হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল। তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তকে শেষ করতে।বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি নিজেই তা প্রমাণ করেছেন।

সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ্য থেকে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যন (সিনিয়র সচিব) মুসফিকা ইকফাত, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল খান চৌধুরী, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙ্গালী জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। অধিকার আদায়ের জন্য তিনি বাঙ্গালী জাতিকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বাঙ্গালী জাতিকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।তিনি বলেন, সংগ্রাম শুরুর আগেই বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পরেই তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান বাঙ্গালি জাতির জন্য সৃষ্টি হয়নি, পাকিস্তানি কাঠামোর মধ্যে বাঙ্গালি জাতির অধিকার আদায় করা যাবে না। বাঙ্গালীদের ভাগ্যনির্ধারক, বাঙ্গালিদেরই হতে হবে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালে থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৮২ দিন জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ঘোষণা করে তিনি এর পক্ষে জনমত তৈরীর জন্য দেশের সকল অঞ্চল সফর করেন।