গোল করছেন, করাচ্ছেন, দলও জিতছে। সঙ্গে নেইমার নামের সেই পঙ্খীরাজের জাদু বিমোহিত করে চলেছে ফুটবল-পিপাসুদের! রোববার রাতে ব্রাজিল তারকার ঝলকেই তৌলুজকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। লিগ ওয়ানে অভিষেকটা হয়েছিল পরের মাঠে, সেদিক থেকে ঘরের মাঠে নেইমারের এটি প্রথম ম্যাচ। তাতে দুটি গোল করেছেন নেইমার। গত সপ্তাহে পিএসজির হয়ে অভিষেকে একটি গোল করার পাশাপাশি করিয়েছিলেনও একটি।

পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাচের ১৩ মিনিটে নেইমারের গোল পাওয়া হয়নি শট ক্রসবারে চুমু দিয়ে চলে যাওয়ায়। কিন্তু ১৮ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় অতিথিরা। এসময় তৌলুজকে এগিয়ে দেন ম্যাক্স-অ্যালেইন গ্রাডেল। পরে ২৬ মিনিটে স্বাগতিকদের সাফল্য আসেনি নেইমারের মাথা ছুঁয়ে আসা বল পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে। ৩১ মিনিটে অবশ্য নেইমারের ছোঁয়াতেই আসে সমতা। প্রথমে বক্সের ভেতর থেকে নেইমারের ব্যাকহিলে অ্যাড্রিয়েন রাবিওট শট নিয়েছিলেন, সেটি অতিথি গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও গ্লাভসে রাখতে পারেননি। ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন নেইমার।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পিএসজির এগিয়ে যাওয়া গোলটি ফরাসি মিডফিল্ডার রাবিওটের। বলের যোগানদাতা আবার নেইমার।
মধ্যবিরতির পর ৬৯ মিনিটে তৌলুজ অধিনায়ক ক্রিস্টোফার জুলিয়েনকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়েন পিএসজি ডিফেন্ডার মার্কো ভেরাত্তি। সেই ধাক্কার পরও অবশ্য খেই হারায়নি পিএসজি। পরের সাফল্যটি আসে ৭৫ মিনিটে। এসময় নেইমারকে বক্সে ফেলে দিয়ে পেনাল্টি উপহার দেয় অতিথিরা। স্কোরশিটে নাম লেখান এডিনসন কাভানি।

থেমে থাকেনি তৌলুজও। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে ক্রিস্টোফার জুলিয়েন মাথা দিয়ে সেটি ঠেলে দেন স্বাগতিকদের জালে। অবশ্য বল জাল খুঁজে পাওয়ার আগে পিএসজির থিয়াগো সিলভার ঘাড়ে লেগে দিক বদলায়।
সেটি হতে পারত তৌলুজের ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ। হয়নি, ম্যাচের ৮২ মিনিটে দূরপাল্লার শটে হাভিয়ের পাস্তোরে এবং ৮৪ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে বল পেয়ে ভলিতে ডিফেন্ডার লেইভিন কুরজাওয়া গোল করে বসলে। শেষের যোগ করা সময়ে বক্সের মধ্যে চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ম্যাজিক্যাল এক কোনাকুনি শটে গোল করে অতিথিদের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার নেইমারই।