আজ ২০ আগষ্ট ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদচিত্র প্রর্দশনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন ছাত্রলীগ হল ইনফেন্টট্রি ডিভিশন আর যুবলীগ হল স্টাইকিং ফোর্স । ইনফেন্টট্রি ডিভিশন তার রাস্তা করবে এবং যুবলীগ সেই রাস্তা ব্যবহার করেই আওয়ামী লীগ কে প্রতিষ্ঠিত করে। এ জন্যই যুবলীগ হল স্টাইকিং ফোর্স । এই ফোর্সের যদি গতি হারায়, নদী যদি গতি হারায় নদী মরে যায়, স্টাইকিং ফোর্সের যদি গতি হারায় তাহলে দল মরে যাবে সুতারং আজকে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে যুবলীগ যে ঐতিহ্য আছে, সে যুবলীগের সুনাম ও আছে। সেই যুবলীগ এর কর্নধার হিসেবে ওমর ফারুক চৌধুরী যে বিভিন্ন জায়গায় যুবলীগের কর্মকান্ড প্রসারিত করেছে সত্যি কথা বলতে আওয়ামী লীগ হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। যদি আমাদেও স্টাইকিং ফোর্সটাকে ধ্বংস করা যায় এবং আমাদের কর্মি বাহিনীদের যদি নিস্তব্ধ করা যায় তাহলে এই অঞ্চলকে, বাংলাদেশকে যারা মেনে নিতে পারেনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা স্বীকৃতি দেয়নি তারা পাকিস্তানের সাথে কান্ট্রিহান্ড হয়। এই জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। তবে একটি কথা বলে রাখি যতদিন শেখ হাসিনা এ দেশের কর্নধর থাকবে, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে আমাদেও কর্মি বাহিনী নির্দেশ পাওয়া মাত্রই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে ততদিন পর্যন্ত এই দুস্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্রকারীরা কোনদিনই দেশে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না, কারন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ স্টাইকিং ফোর্স তারা জানে কি ভাবে কাজ করতে হয়। কোথায় আঘাত করতে হয়। এ জন্য আজকে যুবলীগের বড় দায়িত্ব সবচেয়ে বড় কর্তব্য তাদের ইউনিটি বজায় রাখা। তিনি আরও বলেন এই দেশে আরও ষড়যন্ত্র আসবে, লন্ডনে বসে এখন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এই যড়যন্ত্রের জবাব দিতে পাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মিরা। এরাই নিস্বার্থ, এরাই স্বার্থহীন ভাবে, দ্ব্যার্থহীন ভাষায় কথা বলতে পাওে, পাল্টা আঘাত করতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই এবং শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ থাকবে না। বিকল্প নেতৃত্ব এখনও হয়ে উঠে নাই। বিচারপতিদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র শুধু আজকের নয় এই ষড়যন্ত্র ১৯৬০ থেকে এ দেশে চলে আসছে এবং এদেশ স্বাধীন না হওয়ার জন্য যতরকম চেষ্টা চালানো হয়েছিল সব গুলো নস্যাৎ করা হয়েছে। সুতারং এদেশে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে এদেশকে যারা মুক্ত হতে বাধা সৃষ্টি করেছে তারাই যড়যন্ত্রের মুল হোতা। এই ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।
সভাপতির বক্ত্যবে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আগামিকাল রক্ত ঝরানো ২১ আগস্ট, আগস্ট একটা ভয়াবহ মাসের নাম। যে মাসের তারিখগুলো রক্তস্নাত। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে হোলিখেলার সূচনা বাঙ্গালী জাতিকে অনাদিকাল যেন বহন করে যেতে হবে সে অভিশাপ। আর তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বর্বরতম গ্রেনেড হামলাটি হয়। মানব সভ্যতার কলঙ্ক, মানুষ নামের কিছু হিংস্র জানোয়ার, তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই বিএনপি। অনেকেই জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তারা বলেছেন যারা মরে গেছে তারাই বেঁচে গেছে। মৃত্যু বেদনা নিয়ে এ বাঁচার চেয়ে মরাটাই শ্রেয় ছিল। অথচ এই ঘাতকের মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়া, বিলেতে বসে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দল চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল, ব্যরিস্টার মওদুদ সাহেবরা প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে। এই ঘাতকদের পরিকল্পনাকারীরা আজও মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামীলীগ ৫ বছরেও এদের ধরে এনে বিচার করতে পারলোনা, ৭৫ এ যেমন জিয়াউর রাহমান ইনডেমনিটি বিল পাস করে ঘাতকদের বিচার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল, তেমনি ২০০৪ সালেও ক্ষমতাসীন তারেক-খালেদা-নিজামি-বিএনপি-জামাত জোট সরকার বিচারের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আপনি দেখেন ২০০৮ সালে এই ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি-জামাত ৫ বছরের সকল দুষ্কর্ম অপকর্ম, ঘাতকদের যাতে বিচার না হয় সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ এর গোটা শাসনামল জুড়ে সরকারকে অস্থির করে তুলতে অব্যাহত হরতাল, মানুষ পোড়ানো, পুলিশের উপর হামলা, বায়তুল মোকারমে আগুন, কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দেশকে দেশের মানুষজনকে অস্থির করে তুলেছে। বছর ঘুরে আগস্ট আসলেই মনটা আতংকিত হয়। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট, ২১ শে আগস্ট আবার ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট, ষোড়শ সংশোধনীর রায় একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি । এই দিনগুলোর ইতিহাস জানার ও আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানানোর প্রয়োজন আছে-দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে। আগষ্ট মাসে যড়যন্ত্রের রায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো, তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো। ২১ আগস্ট সব বাঁধা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো: জাকির হোসেন খাঁন, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মুহা: বদিউল আলম আসাদুল হক, মিজানুল ইসলাম মিজু, কাজী আনিসুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।