সরকারের অপেক্ষায় না থেকে দলের নেতাকর্মীদের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে নেতাকর্মীদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
লন্ডনে চোখের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠা বিএনপি চেয়ারপারসন নিজের টুইটারে এক বার্তায় দলের এই আহ্বান জানান।বার্তায় তিনি বলেছেন, বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য দুর্নীতিবাজ সরকারের করুণার আশায় আমরা বসে থাকতে পারি না, আসুন বিএনপি’র নেতাকর্মীরাসহ সবাই এখনি এগিয়ে আসি।টুইটের সঙ্গে বন্যাদুর্গত মানুষের তিনটি আলোকচিত্রও পোস্ট করেছেন খালেদা জিয়া।গত ৮ অগাস্ট পূর্ব লন্ডনের মুরফিল্ড চক্ষু হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ডান চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেই’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বুধবার দুপুরে এক দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, সারা দেশের বন্যার্তদের জন্য সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেই। উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে যে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে, সেটাও কোথাও দৃশমান নেই।এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যে থাকা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘জরুরি বার্তা’ তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীদের উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান রিজভী।তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ এখনো পানিবন্দি। তারা যে রান্না করে খাবে, চাল-ডাল দিলেও কোনো কিছু করতে পারছে না। কোথায় রান্না করে নিয়ে যাবে- সেই উপায় নেই। রেল লাইন ভেসে গেছে, রাস্তা-ঘাট ভেসে গেছে। দেশের গুদামে চাল নেই, গম নেই। মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। অথচ তারা (সরকার) মুখে তুবড়ি ছুটাচ্ছে, মুখে তুবড়ি ছুটিয়ে এই যে লিপ সার্ভিসৃ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বিবৃতিতে বলেছেন, তারা আসল কোনো সার্ভিস দিচ্ছে না, লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ওই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।এতে লন্ডনের মুরফিল্ড আই হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ডান চোখে অস্ত্রোপচারের বিষয়টি জানিয়ে তার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।মোনাজাতের আগের আলোচনায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হকের সমালোচনা করে তাকে ‘আত্মাবিক্রিকারী মানুষ’ আখ্যায়িত করেন বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী।বচারপতি হিসেবে খায়রুল হকের দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এই ধরনের লোকরা সমাজে থাকলে ন্যায় বিচার থাকবে না, মানুষের নাগরিক অধিকার থাকবে না, মানুষের চলাচল নির্বিঘœ হবে না, নারী নির্যাতন হতেই থাকবে। কারণ ওরা তো শেখ হাসিনার কথায় রায় দেন, ওরা বিবেক দিয়ে রায় দেন না। খায়রুল হক শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করেছেন।তিনি বলেন, দেশে এখন তিনটি দুযোর্গ চলছে। একটি শেখ হাসিনা, দ্বিতীয়টি বিচারপতি খায়রুল হক এবং তৃতীয়টি বন্যার প্রাকৃতিক দুযোর্গ।