শোক আর শ্রদ্ধায় বান্দরবান জেলার লামাতে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবন গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়।
সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বর হতে একটি শোক র্যালি বের শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে স্থানীয় টাউন হল মিলনায়তনে গিয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। এ সময় পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ সায়েদ ইকবাল, লামা সার্কেল মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, লামা থানা ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া ও উপজেলা আ.লীগ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন সেলিমসহ প্রমূখ।
আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধুর উপর চিত্রাংকন, রচনা, হামদ নাথ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির গীর্জা ও কেয়াংগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে একই দিন লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও দুপুরে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে রাতের অন্ধকারে বন্দুকের নল উঁচিয়ে সংবিধান পদদলিত করে অবৈধ পথে ক্ষমতা দখল ও দখলিকৃত ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সংবিধান পরিবর্তনের অশুভ ধারা সূচিত করার লক্ষ্যেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমন, নরঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওরা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ওরা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধু মানেই যে লাল-সবুজ বাংলাদেশ।