হাজার হাজার শোকার্ত মানুষের বিন¤্র শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার পাশাপাশি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিভন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের কুটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালন করে।শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুরপ্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়। শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।শোক দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন বিদেশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিজড়িত ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালোরাতে ওই ভবনের যে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে ছিল, সেখানে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। পরে তিনি ওই ভবনের একটি কক্ষে বসে কিছু সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ সময়ে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ত্যাগ করার পরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়ক থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে নিহত তাঁর মা, ভাই, পরিবারের অন্য সদস্য ও আত্মীয়দের দাফন করা হয়। তিনি কবর¯’ানে সকাল সাড়ে ৭টায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এখানে ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বনানী কবরস্থানে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এ মিলাদ মাহ্ফিলে অংশ নেন।

এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এতে অংশ গ্রহন করেন।।এদিকে সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার শান্তিকামনা করে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ উপচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতিত্ব করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থ ও গরীব মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর থানা ও ওয়ার্ড ইউনিটগুলো।এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দরিদ্র রোগীদের ২ ঘন্টা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করে।সকালে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদের নেতৃত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকল সংস্থা ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসে ঢাকায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বরিশাল: স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যা লীসহ নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে নগরীসহ জেলার দশ উপজেলায় ও প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস।মঙ্গলবার রাত বারোটা এক মিনিটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল আটটায় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ, সাংসদ শেখ মোঃ টিপু সুলতান, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারন সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ জেলা ও মহানগর আ’লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সকাল দশটায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যেগে শোক র্যা লী বের করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান কর্মসূচি, মসজিদ, মন্দির, গীর্জায় দোয়া ও প্রার্থনা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, আলাচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়:বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে শোকর্যা লী বের করে। র্যাশলীটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অনুষদ ভবনের নীচ মিলিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক রোকনের তোলা ‘ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু’ শিরোণামে আলোকচিত্রী প্রদর্শিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল শেষে বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাস্থিত ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের জেষ্ঠ্য শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।

ভোলা :জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যা লী বের হয়। এর পর জেলা প্রশাসক সম্মেলন আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম উদ্দিন। এর পর বেলা ১১ টায় ভোলা বাংলা স্কল মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ র্কাযালয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য প্রদান শেষে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃত্বে শহরে বিশাল এক শোক র্যাপলী বের হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়ামুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি দোস্তমাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু প্রমুখ। পরে খাবার বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আবৃত্তি চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরন করা হয়।

লক্ষ্মীপুর : স্বাধীণতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস মঙ্গলবার দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুরে জেলাব্যাপী নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হচ্ছে।কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র্যা লী, আলোচনা সভা, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, খতমে কোরআন, মোনাজাত ও ধর্মীয় উপসনালয়ে প্রার্থনা, জাতির জনকের ওপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং দুস্তদের মাঝে খাবার বিতরন ইত্যাদি। এ উপলক্ষে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসক হুমায়রা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এর আগে শহরের উত্তর বাজারে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সকালে শহরের উত্তর বাজারে এ শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসক হুমায়রা বেগমের অংশ গ্রহনে বিশাল শোক র্যা লী শহরের উত্তর বাজার থেকে শুরু হয়ে রায়পুর-ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালেক ভবন প্রাঙ্গনে শেষ হয়।

সান্তাহার :সারাদেশের ন্যায় মঙ্গলবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রসাশন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীরজনক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী তথা শোকাবহ ১৫ আগস্ট পালন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহনে উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে এক শোক র্যাউলী বের করে। র্যাৃলীটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমবেত হয়। এর পর এক আলোচনা সভা করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট কুদরত-ই এলাহী কাজল, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা আবু রেজা খান প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরেও পৌর আওয়ামীলীগ এবং বিভিন্ন সংগঠন জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি পালন করেছে। বিতরণ করা হয়েছে কাঙ্গালী ভোজ।

লালপুর:১৫ আগস্ট মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান এর ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে কালো ব্যাচ ধারণ, শোক র্যা লী, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মহাফিল সহ নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে । সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র‌্যাবলী বের করা হয়, র্যা লীটি গোপালপুর বাজার ও লালপুর-বনপাড়া সড়ক প্রদিক্ষন করে উপজেলা চত্বরে শেষ হয় । র্যা লীতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ। এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ পাপ্পু, উপজেলা র্নিবাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী,লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা কাজী আছিয়া জয়নুল বেনু ,আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সাত্তার হিরু, ফিরোজ আল হক ভূইয়া প্রমুখ । এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন । র্যা লী শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়:গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে।দিবসের শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তাব্যক্তিগণ কালো ব্যাজ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রাবি শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় শোক সমাবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।এরপর বিভিন্ন আবাসিক হল, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, রাবি শাখা ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাবি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিন বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়।

খাগড়াছড়ি:খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি শোক র্যাললী বের করা হয়। র্যাড়লিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী ও গীতি আলেখ্যা ানুষ্ঠানের আয়োজন করে । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আযোজন করে রক্তদান কর্মসূচী ।এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে মিলাদ মাহফিল, দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, শোক র্যা লি, আলোচনা সভা ও কাঙ্গালি ভোজ ।

কচুয়া :গভীর শ্রদ্বায় যথাযথ মর্যাদায় কচুয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র্যা লী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয। উপজেলার হাশিমপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ -দোয়া, শোক র্যা লী, আলোচনা সভা ও গনভোজের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান মো: গোলাম হোসেন ।লালমনিরহাট : মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪২তম শহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয় ।

সকালে জেলার আদিতমারী উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুড়িরবাজার থেকে একটি র্যািলী বের হয়ে উপজেলা মিলনায়তনে শেষ হয়। পরে একই স্থানে আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রি নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। উপজেলা নিবার্হী অফিসার আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।এদিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ এর যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রর্থনা করা হয়। তাছাড়াও বঙ্গবন্ধুর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা রচনা প্রতিযোগিতা, রক্তদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করে।

রাজশাহী শোক আর বিন¤্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করলো রাজশাহীর মানুষ। দিনভর সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় শোক দিবসের নানা কর্মসূচীর আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়। এসব কর্মসূচি থেকে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবিও জানানো হয়।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীতে শোক র্যা লী বের করা হয়। র্যা লী শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সকালে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ায় স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবন্দ। পরে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শোক র্যা লী বের করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, শফিকুল রহমান বাদশা, শাহাদত হোসেন, নওশের আলী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাঈমুল হুদা রানা প্রমূখ।এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া দিনভর শোক দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- কবিতা পাঠ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত এবং রক্তদান কর্মসূচী। বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করা হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত প্রামান্যচিত্র। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকে প্রচার করা হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ। দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয় খাবার। জেলার সর্বত্র নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিবসটি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয় পৃথকভাবে।

গাইবান্ধা :জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস মঙ্গলবার গাইবান্ধায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র্যা লী, আলোচনা সভা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও মেডিকেল ক্যাম্প, সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল-মন্দির-গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে শোক র্যািলীর নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। শোক র্যাালীটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।পরে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক প্রমুখ।এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, গাইবান্ধা পৌর পরিষদ, সরকারি মহিলা কলেজ, জেলা জজশীপ ও আইনজীবি সমিতি, গাইবান্ধা জেলা অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি, আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।