যাঁরা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির স্বাধীনতার লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও তাঁর অবদানের কথা জেনেও অস্বীকার করে বা করবে; এ জাতি তাঁদের রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করবে। তাঁরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৫টায় ২১/এ তোপখানা রোড কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত ‘শ্রদ্ধা-স্মরণে বঙ্গবন্ধু-স্বাধীনতা’ শীর্ষক শোক সভায় এ-আহ্বান জানান।

কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে উদিয়মান যুব সমাজকে বিভ্রান্তকরণে কাঁরা ষড়যন্ত্র করছে (?) সরকারের উচিত তাঁদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা। যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির স্বাধীনতা চায়নি, তাঁরা নামে-বেনামে খোলস পাল্টিয়ে আবারও ষড়যন্ত্রে নেমেছে। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরেও বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ যখন ধ্বংস করতে পারেনি, তখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে যা আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

শোকসভায় বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু-স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যাঁরা এই নিয়ে বিতর্ক করবে তাঁরা এই দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্খিত বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ আস্তবায়ন জরুরী। আর যাঁরা বঙ্গবন্ধু’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে দেশ থেকে তাঁদের বিতারিত করা হবে।
ন্যাপ ভাসানী’র চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু’র একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল যার প্রমাণ ৭০’র নির্বাচন। এই সত্যকে যাঁরা অস্বীকার করবে তাঁরা এদেশের ভাল চায় কিনা আমার সন্দেহ আছে।

রফিকুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে উক্ত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমার সেন, সাংবাদিক জাহাঙ্গির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার প্রমুখ।