ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু ভায়া ভালকী বাজার সড়ক নির্মানে ৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ের অনিয়মের কাজ নিজ চোখে দেখলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভিন। এরপর তিনি কাজটি কাজ বন্ধ করে দেন। ইউএনও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হরিণাকুন্ডুর ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির লোকজন রাস্তাটি সরেজমিন তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। শনিবার হরিণাকুন্ডুর মথুরাপুর স্কুলে এক সমঝোতা সভায় ঠিকাদার ও সওজ কর্মকর্তারা ভুল স্বীকার করলে আবারো রাস্তার কাজ শুরু করতে অনুমতি দেন। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া থেকে হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ২১.১৬৪ কিলোমিটার সড়টি বেহাল ছিল। রাস্তাটি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটি নির্মান করছেন আলমডাঙ্গার মল্লিকপুর এলাকার ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ওই সড়কে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। কেও কাজও বন্ধ করেনি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে সড়কটি শুরুর পর থেকেই নি¤œমানের সামগ্রী ও সিডিউল মোতাবেক কাজ না করার অভিযোগ ওঠে। ফলে ঝিনাইদহ এলজিইডি ভবনের পাশের অংশের কাজ স্থানীয় সাবেক কমিনার তারিক বন্ধ করে দেন। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান গত ১০ আগষ্ট সমন্বয় কমিটির সভায় নি¤œমানের কাজ করার অভিযোগ করেন। নির্মান কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাইফুজাজ্জামান তাজু, উপজেলা কৃষি অফিসার আরশাদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, ফজলুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা। কমিটির সদস্য কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদার বলেন, আমরা সিডিউলি দেখে জানতে পারলাম পারমথুরাপুর নামক স্থানে রাস্তার কাজ অনিয়মের মাধ্যমে করা হচ্ছিল। সড়ক প্রসস্থকরণ ও গভীরতা কম করা হচ্ছিল। সিডিউল মোতাবেক সিলকোট বা অনুসাঙ্গক কাজ করা হচ্ছিল না।
ঠিকাদার ও সওজের কর্মকর্তারা তাদের ভুল স্বীকার করে সঠিক ভাবে কাজ করার আশ্বাস দিলে আমরা পুনরায় কাজ করার অনুমতি দিয়েছি বলে চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদার জানান। কমিটির আরেক সদস্য উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাইফুজাজ্জামান তাজু জানান, রাস্তাটির নির্মান কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করে আমরা অনিয়মের সত্যতা পেয়ে গত বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ করে দিই। শনিবার এক সমঝোতা বৈঠকে সুষ্ঠ ও নিয়ম মাফিক ভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে ঠিকাদার আবার কাজ শুরু করেন। এ সব বিষয়ে ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, সওজের এসডি ও এসও শনিবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন। আমাদের কোন ভুল নেই। তিনি বলেন, গহরিণাকুন্ডু উপজেলা সমন্বয় কমিটি যদি তদন্ত করে অনিয়ম পায় তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।