দেশীয় পর্যটনের প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে বিদেশী পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরির লক্ষ্যে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ার-২০১৭’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কে‌ন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট ) সকালে এই মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (বিএফটিডি) আয়োজিত এই মেলায় ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়াসহ ৮ দেশের ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান এবং দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ১০৬টি স্টল রয়েছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ভ্রমণ প্যাকেজ, টিকেট সেবা ও ট্যুরিজম রিয়েলস্টেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নানা অফার দিচ্ছে মেলায়। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বলেন, পর্যটন ক্ষে‌ত্রে উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এই খাতে বিনিয়োগে লোকসানের সম্ভাবনা কম। পর্যটন বিকাশে আঞ্চলিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি তিনি ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে ট্যুরিস্ট প্রোডাক্ট হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। আগামি ওআইসি সম্মেলনে দেশীয় ধর্মীয় হেরিটেজগুলো তুলে ধরা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফটিডি’র নির্বাহী পরিচালক ইকরাম রাজু। আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসি‌ডেন্ট শফিউল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী ড. নাসির উদ্দিন, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আক্তার উজ জামান কবির।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলো এখনও পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত করতে পারিনি। এটা যথাযথভাবে করতে না পারলে বিদেশী পর্যটক আসবে না। অথচ এটা করেই ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ অনেক এগিয়েছে। আমরা করতে পারলে শুধুমাত্র বুদ্ধিষ্টকে কেন্দ্র করেই বিদেশী পর্যটকদের বড় একটি অংশ নিয়ে আসা যাবে। পর্যটন খাতের অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতে ট্যুরিজম বোর্ড একটি মাস্টার প্ল্যান করছে বলেও জানান মন্ত্রী। ১২ আগস্ট (শনিবার) পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলায় প্রবেশ করতে ৩০ টাকার টিকেট কাটতে হবে।