নিজে সংসদ সদস্য, চাকরি করেন বেক্সিমকোতে। এসব ব্যস্ততার কারণে বিসিবির সভাপতি পদ ছাড়তে চান তিনি। কয়েক মাস আগে এমন গুঞ্জন ভাসছিলো স্টেডিয়াম পাড়ায়। তবে, সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠজনেরা। জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠেয় বিসিবি নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন পাপন।

কিন্তু বুধবার পুরানো গুঞ্জন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। খোদ পাপন জানালেন, ব্যস্ততার কারণে তিনি বিসিবি প্রেসিডেন্ট পদে আর থাকতে চাইছেন না। মায়ের (আইভি রহমান) স্মরণসভায় এসে অনেক কথার ফাঁকে পাপন বলেন, ‘আমি আর বিসিবি সভাপতি থাকতে চাই না। অনেক ব্যস্ততা। এক সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। যে কারণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। সামনে বিসিবি প্রধান পদে তাই দাঁড়াতে চাই না।’

ক্রিকেট বোদ্ধাদের কেউ কেউ মনে করছেন, ব্যস্ততার জন্য নয় ভবিষ্যতে আইসিসির সভাপতি হওয়ার জন্যই বিসিবি ছাড়ছেন পাপন। আইসিসির সভাপতি হতে গেলে আবার প্রথমে দুই বছরের জন্য সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে আইসিসির। সহ-সভাপতি হতে হলে কোনো ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে থাকা চলবে না। যে কারণে বিসিবির প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচন করতে চাইছেন না পাপন। তবে এসবই গুঞ্জন। আসল ঘটনা কী সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে আগামী মাসেই। সেপ্টেম্বরে এজিএম ও ইজিএম ডেকেছেন পাপন। বিসিবির নির্বাচন ঘোষণা করা হবে তখনই।

বিসিবির সভাপতি ছেড়ে এর আগে সহ-সভাপতি হয়ে পরে আইসিসির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পদত্যাগ করেন মুস্তফা কামাল।