চলতি মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। আগস্টের শেষ সপ্তাহের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু হবে। রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

হেলালউদ্দিন জানান, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে। মোট ৬০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর আগস্টের শেষ সপ্তাহে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন। ঈদের পর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক চলবে।গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার সংলাপ করেছিল ইসি। সুশীল সমাজের ৫৯ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। তবে সংলাপে অংশ নেন ৩৪ জন। সেখানে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন, না ভোট প্রবর্তন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেওয়াসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সক্রিয় হতে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনকে ভয়মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক করতে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা

নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ বলেন,বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতাসহ ৬০ জনের মতো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও নির্বাচনের বিষয়ে সংলাপ শুরু করা হবে বলেও জানিয়েছেন হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি জানান, আগস্টের শেষ সপ্তাহে ৬টি দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। ঈদের পরে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ বাকি দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু হবে। উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৬ জুলাই ইসি একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এই রোডম্যাপের অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজের সঙ্গে একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দল ছাড়াও নারী সংগঠন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সংলাপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।