চলতি বছরের জুলাইয়ে জেরুজালেম ও সংলগ্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন আট ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আটক হয়েছেন কমপক্ষে ৪২৫ জন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াদি হিলওয়াহ-এর এক প্রতিবেদনে এ সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।জুলাই মাসে ফিলিস্তিনিদের অন্তত ১২টি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা বসানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। নজরদারি বসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নামাজরত মুসল্লিকে লাথি মারার মতো ঘটনাও ঘটে।

এই প্রতিরোধ ছড়িয়ে পড়ে জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীর পর্যন্ত। ১৩ দিন ধরে চলে বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর তা-বে নিহত হন আট ফিলিস্তিনি।ওয়াদি হিলওয়াহ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটককৃত ৪২৫ জনের মধ্যে ৬৫ জনই শিশু। এরমধ্যে ৯ জনের বয়স ১২-এর নিচে। এছাড়া দুইজন বয়স্ক পুরুষ ও একজন বয়স্ক নারীকেও আটক করা হয়। আল-আকসার ইসলামিক আওকাফ বিভাগের ৫৮ সদস্যকেও গ্রেফতার করে ইসরায়েল।আল-আকসা প্রাঙ্গন থেকে ২২২ জনকে আটক করা হয়েছে। সিলওয়ান থেকে ৫৪ জন, ওল্ড সিটি থেকে ৩৫, আত-তুর থেকে ৩১, আল-ইসাওয়া থেকে ২০, ওয়াদি জোজ থেকে ১৬, আল-সাওয়ানেহ থেকে ১৪, সুফাত ও অনতা শরণার্থী শিবির থেকে ১৩, শুয়াফাত থেকে ৬, বিত হানিনা থেকে দুই, সুরবাহার ও জাবাল-আল মুকাবের থেকে পাঁচজন করে গ্রেফতার করা হয়েছে।এছাড়া অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনির আল আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাবার বুলেট, শব্দবোমা, কাঁদানে গ্যাসের কারণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০০ ফিলিস্তিনি। ধসে পড়েছে ১২টি ভবন। এতে ৭ শিশুসহ গৃহহীন হয়েছেন ১৭ জন।