আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা থাকলেও সহযোগিতা অব্যাহত থাকতে হবে। রোববার সকালে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমস্যা থাকলেও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকার কথাও বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির কথা তুলে ধরেন।এর আগে আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ে সমুদ্রসীমার বিরোধও নিষ্পত্তি হয়েছে।২০০৪ সালের ১২ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার আগে সমাবেশে গ্রেনেড হামলার কথা সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।এই সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান।পরের বছর ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় এক সাথে বোমা হামলার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী কর্মকান্ডে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হয় বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী অবস্থানকে তার দেশের জনগণের প্রশংসা করে বলেও জানান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত।গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর এ ধরণের আর কোনো ঘটনা না ঘটার কথা উল্লেখ করে রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি বলেন, শেখ হাসিনা কঠোর হস্তে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।দারিদ্রতাকে এই অঞ্চলের মূল শত্র“ হিসোবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তার সরকারের মূল লক্ষ্য; তৃণমূলের উন্নয়ন।এই সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইহসানুল করিম ছাড়াও মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী কর্াালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।