ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন পুরাতন হাটখোলায় মনিরুজ্জামান নামের এক ভূয়া চিকিৎসককে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিককে সুধীর বিশ্বাসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। দন্ডিত মনিরুজ্জামান যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পুরাতন হাটখোলা এলাকার জননী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ভূয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে আটক করা হয়। পরে আদালত বসিয়ে মনিরুজ্জামানকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদাণ করা হয়। এছাড়াও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিককে সুধীর বিশ্বাসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডিত মনিরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগিদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছেন আদালতের বিচারক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা, মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ, ওষুধ তত্বাবধায়ক নাজমুল হাসান, জেলা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক খান মাসুদুর রহমান ও সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য অফিসার আব্দুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ বিন মিজান শিশির