জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি অবরোধের ১০ বছর পার করে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। মঙ্গলবার গাজা-১০ বছর পরে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গাজা নিয়ে ২০১২ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জীবন ধারণের পরিস্থিতির অবনতি ঘটার কিছু নিয়ামক (ইন্ডিকেটর) চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেমন, আয় কমা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ-ব্যবস্থার অবনতি, ইত্যাদি। এখন এসব খাতে আরও অবনতি হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ‘পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার’খ্যাত ওই উপত্যকার বসবাসের অযোগ্য হওয়ার খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় মাথাপিছু আয় (জিডিপি পার ক্যাপিটা) কমেছে। অন্যদিকে ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে ২০২০ সালের মধ্যে খালি হয়ে যাবে সেখানকার একমাত্র পানির উৎস। এরপর তাকে আগের অবস্থায় আর ফেরত আনা যাবে না।জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ ও উন্নয়ন কর্মকা-ের সমন্বয়ক রবার্ট পাইপার বলেন, (বিগত ১০ বছরে) গাজার অবনতির হার অব্যাহত রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা আমাদের আশঙ্কার চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে ঘটেছে। তিনি বলেন, যখন আপনি দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবেন, তরুণদের বেকারত্বের হার ৬০ শতাংশে নেমে আসবে, তার মানে সেখানে বাসযোগ্যতার সীমা বহু আগেই পেরিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি গাজায় বসবাসকারী ২০ লাখ বেসামরিক নাগরিককে ধীরে ধীরে এই অবর্ণনীয়, অমানবিক ও অন্যায় প্রক্রিয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে যেতে দেখেছি। অথচ এরা কারও জন্যেই কোনো প্রকার হুমকি নয়।ফিলিস্তিনি এক বার্তাসংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাইপার বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নিলে তবেই একটি মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের এই মানুষগুলোকে অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে না হলেও, একটু ওপরের দিকে নিয়ে আসতে হবে।