সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির রোগ শনাক্ত হয়েছে। বিরল এই রোগটির নাম ‘হাইপারক্রেটোসিস’। শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বুধবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড মুক্তামনির প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, মুক্তামনি রক্তশূন্যতাসহ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ডের ভাষ্য, হাইপারক্রেটোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মুক্তামনির ডান হাতের আকৃতি দিন দিন বড় হচ্ছে। তা থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। রোগটি আস্তে আস্তে তার বুক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের উপদেষ্টা ড. সামন্ত লাল সেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার থেকেই মুক্তামনির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের সদস্যরা আজ তাকে পরীক্ষা করেছেন। মুক্তামনির একাধিক অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।

এই চিকিৎসক আরো জানান, মুক্তামনির ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে। গত সোমবার রাতে সাতক্ষীরা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তামনিকে সরকারি উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিরল রোগে আক্রান্ত এই শিশুটির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।