আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে, আগামী নির্বাচনেও তারা ব্যর্থ হবে।তিনি বলেন, ঈদের পর আন্দোলন, ঈদ শেষে পরীক্ষার পর আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে কেবল বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তর্জন-গর্জনই করছেন। তাঁর আন্দোলনের ঘোষনা আর শেষ হচ্ছে না।কাদের বলেন, দিন যায়, মাস যায়, বছরও যায়। এভাবে আট বছর পার হয়ে গেল, ডশু।তু কোথায় বিএনপির আন্দোলন? যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে।তিনি সোমবার সকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্ত্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শেখর ও সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শেখ আফিল উদ্দীন এমপি, অ্যাড. এনিরুল ইসলাম মনির এমপি, কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, রনজিৎ কুমার রায় এমপি, স্বপন ভট্রাচার্য্য এমপি,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার প্রমূখ।ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে হবে। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলে থাকা অসুস্থ, অসহায় ও অসচ্ছল কর্মীদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো ও তাদেরকে চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি মেধাবী আর শিক্ষিতদের আওয়ামী লীগে যোদানের আহবান জানিয়ে বলেন, যারা ক্ষমতায় থেকে দাপট দেখায়, তারা দ্রুত ক্ষমতাচ্যুত হয়। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় থাকলেও অনেক কর্মীরা অসহায় জীবনযাপন করছেন। তাদের অনেকের ঘরের চালা নেই। এক ঘরে গাদাগাদি করে আস্তাবলের মতো পরিবেশে বসবাস করে। তবুও তারা ক্ষমতার দম্ভ দেখায় না।নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। জনগণই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার কেন্দ্রেবিন্দু। তাই আপনারা গ্রামে গ্রামে যান, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করুন। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা।তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নতুন শ্লোগান হলো, মাদককে না বলা, দুর্নীতিকে না বলা আর জঙ্গীবাদকে না বলা ও প্রতিরোধ করা।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলতি অর্থবছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ জোনে ১০টি আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। খুলনা-সাতক্ষীরা এবং যশোর-বেনাপোল সড়ক প্রশস্তকরণসহ খুলনা জোনে ৩২১ কোটি টাকার কাজ দ্রুতই শুরুহবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা সড়ক জোনের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সওজ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের খুলনা জোনের বিভিন্ন জেলায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয় খোঁজখবর নেন এবং জনগণের ভোগান্তি নিরসনে জেলা সড়কগুলোর অব¯’া উন্নত করার নির্দেশ দেন।তিনি বলেন, জেলা সড়কগুলোতে জনগণের স¯পৃক্ততা সবচেয়ে বেশি। মহাসড়কগুলোয় ইজিবাইকের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা সড়কগুলোতে ইজিবাইক চলাচলের কারণে যে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয় সে বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দেন।তিনি বলেন, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে আলোচনা করে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।তিনি খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরি¯ি’তি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মাদক বিষয়ে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পূনর্ব্যক্ত করেন।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, সড়ক ও জনপথ খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানসহ সওজ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।