রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জঙ্গি নেতা মাহফুজ সোহেল জেএমবির ভারতীয় শাখার প্রথম আমির ও খাগড়াগড় বোমা হামলার অন্যতম আসামি বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সোহেল জেএমবির ভারতীয় শাখার প্রথম আমির ও খাগড়াগড় বোমা হামলার অন্যতম আসামি। তাকে ধরিয়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
পুলিশের ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সোহেল মাহফুজ ২০০৬ সালে ভারতে পালিয়ে যায়। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সে জেএমবির ভারতীয় শাখার আমির ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সে ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর সে পুরনো জেএমবি ছেড়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা পরিকল্পনার সময় সে উপস্থিত ছিল, হামলার আগে সে অস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে আসে।’ হলি আর্টিজান হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ সোহেল মাহফুজকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ায় আবেদন করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে তিন সহযোগীসহ সোহেলকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি মাহফুজ সোহেল নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, রাত ২টার দিকে শিবগেঞ্জর পুশকিনি এলাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটক অন্য তিনজন হলেন- জেএমবির আইসিটি বিশেষজ্ঞ হাফিজ, সামরিক শাখার সদস্য জামাল এবং জেএমবি সদস্য জুয়েল।