বিস্ফোরণের আগে হামলাকারী ভবনটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটির একাংশ ভেঙে পড়ে। ছবি: রয়টার্সসৌদি আরবে মুসলমানদের পবিত্র স্থান মক্কার পবিত্র কাবা শরিফে সন্ত্রাসী হামলার’ পরিকল্পনা গতকাল শুক্রবার নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার পুলিশি অভিযানের সময়ে মক্কার এক ভবনে থাকা আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ১১ জন।পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমায় মক্কার পবিত্র কাবায় সারা বিশ্ব থেকে জড়ো হয়েছিলেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। আর ওই সময়ই সেখানে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও তা নস্যাতের খবর এল।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মক্কার অদূরে আজইয়াদ এলাকার তিনতলা একটি ভবন পুলিশ ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এতে ভবনটি ধসে পড়লে পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ ১১ জন আহত হন। পরে আহত ছয় বিদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ সন্দেহভাজন পাঁচ জঙ্গিকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মানসুর আল-তুর্কিকে উদ্ধৃত করে সৌদি গেজেট-এর খবরে বলা হয়েছে, মক্কাভিত্তিক দুটি ও জেদ্দাভিত্তিক একটি, অর্থাৎ তিনটি জঙ্গি দল মিলে হামলার পরিকল্পনা করে। তুর্কি বলেন, ‘ওই হামলাকারী নিরাপত্তাকর্মীদের দেখে গুলি করা শুরু করে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আত্মঘাতী ওই হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে সৌদি আরবে মাঝেমধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।গত বছর রমজান মাসের শেষের দিকে মদিনা শহরে হামলায় চারজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই দিনই জেদ্দা শহরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন আরও সাতজন। সৌদি আরবে চালানো হামলাগুলোর বেশির ভাগেরই লক্ষ্যবস্তু হন দেশটিতে থাকা সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন ও নিরাপত্তাকর্মীরা। গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত দেশটির পুলিশ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহ সৌদি আরব ও পাকিস্তানের নাগরিকসহ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে।