বাসের টিকিটি না পেয়ে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকে করে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার সময় ট্রাক উল্টে লালমনিরহাটের একই পরিবারের ৪জনসহ ১৭ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের বাড়ি জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায়। তাদের অধিকাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রবিউল ইসলাম, নাসিদা আক্তার, আজিজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, আনিছুজ্জামান, সুর্পণা, কোহিনুর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মজনু মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, মুনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও খলিল মিয়া। আহতরা জানান, ট্রাকটি হেলপার চালাচ্ছিল। ড্রাইভার ঘুমাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কালীগঞ্জের চাপারহাটের এক বিশিষ্ট রড, সিমেন্ট, টিন ব্যবসায়ীর সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকে ঈদ করতে গাজীপুর থেকে ৫০ জনের মত যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে ফিরছিল। সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হন। আহতদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাতজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সুলতান রেজা খান জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। লাশগুলো পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলায় চন্দ্রপুর ইউনিয়নে লতাবর এলাকায় একই পরিবারের ৪জনসহ উত্তর বত্রিশহাজারী (চাপারহাট) গ্রামের মোট ১৭ জন নিহত চাপারহাট এলাকায় শোকের মাতম বিরাজ সহ কান্না-আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়েছে।
এ দিকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে রংপুরের জেলা প্রশাসক তাতক্ষনিত নিহদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের জন্য ৫ হাজার টাকার করে অনুদান প্রদান করেন। শেষ লেখা পর্যন্ত আহতদের আরো উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান মেডিকেলে নিজেই তিনি দেখ ভাল করছেন।