আগামী তিনদিনের মধ্যেই রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখার প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান। তবে সড়কপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে আরো এক মাস সময় লাগবে। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাঙামাটিতে সড়কের সংস্কারকাজ পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

পাহাড়ধসের ঘটনায় আজ দুপুরেও জুরাছড়ি উপজেলা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে পাঁচ জেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৮ জনে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষণের কারণে নিমেষেই পাল্টে যায় রাঙামাটির চিত্র। পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে জেলার কাপ্তাই, কাউখালী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থমকে গেছে পুরো জেলার জনজীবন।

পাহাড়ধসে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে সড়ক কিংবা সেতু ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে রাঙামাটি। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয়ের পথে এখন রাঙামাটি। একদিকে মৃত মানুষের জন্য স্বজনের হাহাকার, অন্যদিকে বাজারে জিনিসপত্রের কমতি ও চড়া দাম। বাজারে নিত্যপণ্য তেমন নেই।

গত দুদিনে শহরের প্রায় প্রতিটি তেলের দোকান ও পেট্রলপাম্পে দেখা গেছে মারামারির চিত্র। কোথাও নেই জ্বালানি তেল। তাই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে অন্যান্য সব গাড়ি। জ্বালানি তেলের অভাবে ব্যক্তিগত ও অফিসের জেনারেটরগুলোও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জ্বালানি তেলও নিয়ে আসা যাচ্ছে না।