শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। ভুবনেশ্বর কুমারের ওই ওভারে মাত্র ১ রান করেছিল বাংলাদেশ। এর পর মারকুটে খেলেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। কিন্তু ৫.৫ ওভারে ৩০ রানের জুটি গড়ে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। ৩১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তামিম ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম, তার ৩৮তম ফিফটির আগেই বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ১০০ রান। স্কোর ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান।
সৌম্য সরকার নিজের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন রানের খাতা খোলার আগেই। ভুবনেশ্বরের বল ভেঙে দেয় সৌম্যর স্টাম্প। তিনি ক্রিজ ছাড়ার পর তামিমের সঙ্গে দারুণ খেলছিলেন সাব্বির। এ জুটিতে দুজনই বেশ কিছু চার মেরে গ্যালারি উল্লাসে মাতান। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি সাব্বির। ভুবনেশ্বরের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ হন রবীন্দ্র জাদেজার। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে তামিম বোল্ড হলেও নো বলে জীবন পান।
বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। দুই দলই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই একটি ম্যাচ জিতলেই টাইগাররা পৌঁছে যাবে বৈশ্বিক কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ফাইনালে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের পর বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ নিয়ে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা বিরাজ করে। দুই দলের শরীরি ভাষায় ‘খুনে’ মনোভাব স্পষ্টই ফুটে উঠে! খেলোয়াড়দের বাইরেও দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরা সামাজিক মিডিয়ায় যুদ্ধে লিপ্ত হন, যেটা কিনা মাঝে মাঝে বাড়াবাড়ি পর্যায়েও চলে যায়।
প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ এমন এক অর্জনে রোমাঞ্চিত। রোমাঞ্চ সঙ্গী করে ভারতের বিপক্ষে ভা্লো ক্রিকেট খেলার প্রত্যাশা মাশরাফির। তবে প্রতিপক্ষ ভারত বলেই বাংলাদেশের জন্য খানিকটা চিন্তার। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের পর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ১ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এই দুটি ম্যাচের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা টাইগার সমর্থকরা হয়তো কখনও ভুলতে পারবেন না। ওই ম্যাচের পর যতবার ভারত-বাংলাদেশ লড়াই হয়েছে, সেটা পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ময়দানে থেকেছে বাড়তি ঝাঁজ।