যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি কূটনীতিক আটকের ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সোমবার (১২ জুন) নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ সাহেদুল ইসলামকে তার পলাতক একজন গৃহকর্মীর মামলায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে রাখা হয়েছে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে বেল বন্ড দাখিল সাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, একজন পলাতক ব্যক্তির কথায় একজন কূটনীতিককে কেন আটক করা হয়েছে, সেটি জানার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে কারণ জানতে চেয়েছি।যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রিফম্যান ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আন্দ্রেয়া বি রডরিগেজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে দেখা করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গোটা ব্যাপারটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় এবং তাদের কাছে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছি আমরা।১৩ মাস আগে এই গৃহকর্মী সাহেদুল ইসলামের বাসা থেকে পালিয়ে যান এবং সেই সময়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়।এর এক বছর পর একজন পলাতক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও কূটনীতিককে গ্রেফতার কেন করা হয়েছে, সেটির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি তাদের কাছে।এদিকে ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আজ (মঙ্গলবার) কূটনীতিকরা দেখা করে বিষয়টি ব্যাখ্যা চাইবেন বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গৃহকর্মী পলাতক হয়েছে, এই সংবাদটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানানোর পরেও এ ঘটনা কেন ঘটলো, সেটি একটি রহস্য এবং আমরা এটি জানতে চাই।এর আগে নিউ ই্য়র্কে বাংলাদেশের সাবেক কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুরূপ একটি মামলা করে তার পলাতক গৃহকর্মী। সংশ্লিষ্টরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার জন্য এই গৃহকর্মীরা এ ধরনের মামলা করে থাকে।সাহেদুল ইসলাম রাজনৈতিক বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগপ্রাপ্ত কূটনীতিক। ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক মিশনে কাউন্সিলর পদে যোগ দেন তিনি।