ঢাকায় বৃষ্টি।এর মধ্যেই টিকিট কিনতে বাস কাউন্টারের সামনে লাইন ধরেছে লোকজন। সেহেরির পর থেকে চলছে এ তোড়জোড়। তাঁরা বলেছেন, ঈদে বাড়ি যেতে টিকিট চাই-ই চাই। তাই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করতেও সমস্যা নেই।দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের বাসে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে; কাউন্টারে দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকেট হাতে পেলেও চাহিদার বিপরীতে টিকেটের সংখ্যা কম কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ ক্রেতাদের।অন্যদিকে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদযাত্রার পর ফিরতি পথে যাত্রী কম থাকায় ব্যবসার স্বার্থে তাদের বেশি দাম নিতে হচ্ছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলোতে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়।

ঈদ যাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে তাই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ। এ যেন এক অধরা জিনিস। হাতে এলে তবেই যেন শান্তিÑপেলাম, আমি পেলাম!’কাউন্টারের সামনে টিকিটের জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে অধীর অপেক্ষায়। কারও হাতে যেই টিকিট আসছে, অমনি চোখমুখে উপচে পড়ছে উচ্ছ্বাস।টিকিট বিক্রির প্রথম দিন সোমাবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষজন স্টেশনে আসছেন। সকাল আটটা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। পুরুষদের কাউন্টারে ভিড় বেশি চোখে পড়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় কিছুটা কমে আসে। নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ কাউন্টারে খুব বেশি ভিড় ছিল না।আজ ২১ জুনের টিকিট বিক্রি চলছে। ঢাকা পলিটেকনিকের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সুজন মাহমুদ বলেন, টিকিট কেনার কোনো নিয়ত ছিল না। দেখতে এসেছি কেমন চলছে কেনাবেচা। দীর্ঘ লাইন ছিল না বলে কিনেই ফেললাম। এসির টিকিট কিনেছি। গেল বার লাইনে দাঁড়িয়ে নন এসির টিকিটও পাইনি।২৩ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আগের দিন বৃহস্পতিবারের টিকেটের চাহিদা বেশি বলে বেশি জানিয়েছেন কাউন্টার ব্যবস্থাপকরা।বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির মধ্যেও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাস টিকেটের জন্য মানুষের ছিল দীর্ঘ লাইন। তবে দক্ষিণবঙ্গমুখী কাউন্টারে সেই চিত্র ছিল অনেকটা ভিন্ন।কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সাড়ে ১১টায় বগুড়ার দুটি টিকেট হাতে পান মঈনুল হাসান আশিক।অন্য সময়ে ৩৫০ টাকার বিপরীতে বাড়তি দামে ৪৭০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থী।আশিক বলেন, অনেক অপেক্ষা করে ২২ তারিখ বিকেলের দুটা টিকেট নিয়েছি। ঈদের সময় দাম একটু বাড়তি। কিছুতো করার নাই।একই কাউন্টারে সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে জয়পুরহাটের অগ্রিম টিকেট কেনেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সুমন আহমেদ।তিনি বলেন, সকালের দিকে আসায় টিকেটটা পেয়েছি। কিন্তু সেটা ২১ তারিখ সকালের ট্রিপের। কিন্তু আমাদের সময় পরিবর্তন হয়েছে বিকালে যাওয়ার। এ কারণে বিকালের টিকেট পাই কি-না দেখতে আবার লাইনে দাঁড়িয়েছি।যাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শ্যামলী পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের রাজশাহী গামী কাউন্টারের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, যাত্রীরা বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছে, সেটা ঠিক; আর টিকেট হাতে রেখে দেওয়ার কথাও তারা বলে।

আমরাও কিছু বেশি দাম নিচ্ছি। অন্য সময়ে আসা-যাওয়ার ট্রিপে যাত্রী পূর্ণ থাকায় বিআরটিএর বেঁধে দেওয়া দাম থেকে কিছুটা কম নিতে পারি। ফিরতি পথের কথা চিন্তা করে এখন কম নেওয়া সম্ভব না।প্রথম দিন বেলা ১১টার রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জগামী সব অগ্রিম টিকেট শেষ হয়ে গেছে বলে জানান জাকির।পাঁচটি কাউন্টারে ভাগাভাগি করে অগ্রিম টিকেট দেওয়ায় শ্যামলী পরিবহনে যাত্রীদের ভিড় ছিল অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম।তবে একই স্থান থেকে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর টিকেট দেওয়ায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ গাবতলী বালুর মাঠ এলাকার কাউন্টারে ছিল উপচেপড়া ভিড়; এসআর ট্রাভেলসের গাবতলী কাউন্টারেও যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক।হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ানোর চার ঘণ্টা পর ঠাকুরগাঁওয়ের টিকেট হাতে পান ক্রিসেন্ট কোম্পানির কর্মীর আবু কামরুজ্জামান।অন্য সময়ে ৬০০ টাকার বিপরীতে সাড়ে ৮০০ টাকা নিলেও ‘টিকেটতো পেয়েছি’ বলে স্বান্তনা খোঁজেন তিনি।সকাল ৮টায় এসে লাইন ধরছি, ১২টায় টিকেট পেলাম। ঈদের সময়তো, তাই ভাড়া বেশিই নিয়েছে। আর কিছুক্ষণ সময় গেলেতো টিকেটও পেতাম না হয়ত।হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মোশাররেফ হোসেন বলেন, আমাদের একেকটা রুটে ৪/৫টা গাড়ি, আর যাত্রীর সংখ্যা দেড়-দুই হাজার। এত টিকেটের ব্যবস্থাতো আমরা করতে পারব না।তিনি বলেন, হানিফের অধিকাংশ রুটে ২২ তারিখের ‘টিকেট নেই বললেই চলে’। তার মধ্যে ২২ তারিখ বিকেলের টিকেট চাচ্ছেন অনেক যাত্রী।বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া তারা নিচ্ছেন বলে দাবি করেন মোশারেরফ।তিনি বলেন, যেমন ধরেন, বগুড়ায় বিআরটিএর ভাড়া ৫২০ টাকা, সেখানে অন্য সময়ে আমরা নিই ৪৫০ টাকা। ডাবল ট্রিপে যাত্রী পূর্ণ থাকায় সেটা নিতে পারি। কিন্তু ঈদের সময়ে ফিরতি ট্রিপে যাত্রী অল্প কয়েকজন থাকায় সেখানে কম নেওয়া সম্ভব হয় না।এস আর ট্রাভেলসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক টি আর প্লাবন বলেন, তারা গাবতলীর একটি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করেছেন। কাউন্টার থেকে ২১ থেকে ২৫ জুন তারিখের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সহজ ডটকম থেকে অনলাইনেও অগ্রিম টিকেট কাটা যাচ্ছে।উত্তরাঞ্চলের অগ্রিম টিকেটের জন্য যাত্রীদের ভিড় দেখা গেলেও দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলামুখী কাউন্টারগুলোতে সেই চিত্র ছিল অনেকটা ভিন্ন।গাবতলীয় বাস টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অগ্রিম টিকেট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে কাউন্টার ব্যবস্থাপকদের।হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার চৌধুরী আলম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, এজন্য হয়ত কম। আবার অফিস টাইমও। দেখা যাক, বিকেলের দিকে কেমন বাড়ে।আবার এ জেলাগুলোতে অগ্রিম টিকেটের চাহিদা উত্তরাঞ্চলের তুলনায় কম বলেও জানান তিনি।রামপুরা নিবাসী স্কুলশিক্ষক আলপনা খাতুন জামালপুরে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। চাহিদা অনুযায়ী চারটি টিকিট পেয়েছেন। তিনি বললেন, মাত্র আসলাম, মাত্রই টিকিট পেয়ে গেলাম। কোনো সিরিয়াল ধরতে হয়নি। ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বললেন, এবার একটু আগে বাড়ি যাব। সকাল থেকে লাইন ভঙ্গ বা কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি। তবে গত বছর টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে আরও অনেক দীর্ঘ সারি ছিল।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তনগর ও স্পেশাল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য পাঁচ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।

স্টেশনমাস্টার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এবারে ঈদ উপলক্ষে ২২ হাজার ১২২টি অগ্রিম টিকিট ছাড়া হয়েছে। সকাল থেকেই মানুষজন নির্বিঘেœ টিকিট কাটছেন। স্টেশনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাব কাজ করছে।ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সকালে বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টারের সামনে অগ্রিম টিকিট কিনতে আগ্রহী নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বাস কাউন্টারগুলো থেকে বলা হচ্ছে, ২৬ জুন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ২০-২৫ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।রাজধানীর গাবতলী বালুর মাঠসংলগ্ন হানিফ পরিবহনের বাসের কাউন্টারে টিকিট কিনতে এসে ছিলেন একটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নাজমা আক্তার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খুব ভোরে এসেছেন। দিনাজপুর যেতে ২৩ জুনের টিকিট চেয়েছিলেন। পেয়েছেন ২১ জুনের টিকিট। এখন তাঁকে এক দিন ছুটি নিতে হবে।শত শত লোক এখনো সারিতে দাঁড়িয়ে। এ অবস্থায় বাসের অগ্রিম টিকিট পেয়ে আনন্দিত এক তরুণী। ছবিটি আজ সোমবার রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তোলা। ছবি: আশরাফুল আলম২২ জুন জয়পুরহাটে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে আজ ভোর পাঁচটার দিকে আজিজুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম নামের দুই ভাই এসেছেন গাবতলীতে। আজিজুল বলেন, তাঁরা রাতের টিকিট চেয়ে দিনের টিকিট পেয়েছেন। তার ওপর ২০০ টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয়েছে। তবে পরিবারের সব সদস্য মিলে এক সঙ্গে বাড়িতে যেতে পারবেন বলে বেশি দামের টিকিটে আক্ষেপ নেই। এই দুই ভাই মোট পাঁচটি টিকিট কিনেছেন।নাবিল পরিবহন, শ্যামলী পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা গেছে। রংপুরের টিকিট কেনার জন্য গাবতলীর নাবিল পরিবহনের সামনে সাহরীর পর দাঁড়িয়েছেন আবদুল হালিম নামের এক বেসরকারি চাকুরে। সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। এরপরও কোনো কষ্ট নেই। যদি কাক্সিক্ষত টিকিট পাই, তাতেই খুশি। তিনি ২২ তারিখ রাতের টিকিট খুঁজছিলেন। প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কাক্সিক্ষত বাসের টিকিট পেয়েছেন বলে খুব খুশি। পরিবার নিয়ে রংপুরে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবেন।হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, ভোর ছয়টা থেকে তাঁরা টিকিট দেওয়া শুরু করেছেন। আজ ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি। বিভিন্ন গন্তব্যের এই দুটি দিনের টিকিট সকাল ১০টার মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গেছে।সারিতে দাঁড়িয়ে কষ্ট সহ্য করে অবশেষে মিলেছে বাসের অগ্রিম টিকিট। ছবিটি আজ সোমবার রাজধানীর গাবতলী বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তোলা। ছবি: আশরাফুল আলমবাড়তি ভাড়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহনের এই মহাব্যবস্থাপক বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁরা নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আজ বিক্রি শুরু হলেও আগে থেকেই অনেকে বাসের অগ্রিম টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোতে অনুরোধ করে রেখেছিলেন।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২৭ জুন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ২২ ও ২৩ জুন বাড়ি ফেরার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় বলে মনে করা হচ্ছে। ২৭ জুন ঈদ হলে আগের দিন সোমবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। এর আগে ২২ জুন বৃহস্পতিবার। পরদিন ২৩ ও ২৪ জুন শুক্র ও শনিবার নিয়মিত ছুটি থাকে।বাস মালিক সমিতি ও ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৭ জুন ঈদ হলে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে ২২ ও ২৩ তারিখের টিকিটের। ২২ জুন বৃহস্পতিবার। ওই দিন সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা শেষ কর্মদিবস ধরে অফিস শেষে ঢাকা ছাড়বেন। যাঁরা এই দিনের টিকিট পাবেন না, তাঁরা পরদিন, অর্থাৎ, শুক্রবার ঢাকা ছাড়বেন। এ ক্ষেত্রে কম চাপ থাকবে ২৪ থেকে ২৬ জুন।অনলাইনে বাসের টিকিট: অনলাইনে বাসের টিকিট দিচ্ছে সহজ ডটকম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জানতে চাইলে সহজ ডটকমের জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক মির্জা মুহাম্মাদ ইলিয়াস প্রথম আলোকে বলেন, আমরা অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। সকাল থেকে অনেক মানুষ এটি ব্যবহারের কারণে কিছুটা চাপ ছিল। আজ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছেন। তিনি জানান, তাঁরা প্রায় ৪৩টি বাসের সঙ্গে চুক্তি করে টিকিট বিক্রি করছেন।