সুন্দরবনের নাংলী ক্যাম্পের ‘মাদ্রাসার ছিলা’ এলাকায় লাগা আগুন শনিবার দুপুর পর্যন্তও পুরোপুরি নেভেনি। তবে বন বিভাগের দাবী আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে ধানসাগর ইউপি সদস্য মো: জাকির হোসেন টাইগার টিম এবং স্থানীয় কয়েক’শ লোকজন নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার বিকেলের পর থেকে ফায়ার লাইনের বাহিরে আগুন ছড়িয়ে না পড়লেও এখনও বিভিন্ন স্থানে ফুলকি দিয়ে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মেহেদীজ্জামান। তিনি আরো বলেন, যেখানেই আগুন দেখা যাচ্ছে সেখানেই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন পানি দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় গঠিত তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটির প্রধান চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মেহেদীজ্জামান বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও আগুন নিভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসকে নিয়োজিত করা হয়েছে। সেই সাথে সহায়তা করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসী। তিনি আরো বলেন, প্রায় এক একর বনভুমির সকল গাছপালা (বলা গাছ, ছন, গুল্ম-লতা-পাতা) পুড়ে গেছে। এতে বনের ও পরিবেশের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপনে কাজ চলছে। শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে।

এদিকে ঘটনা তদন্তে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো.মেহেদীউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেনসুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।কমিটি রোববার থেকে কাজ শুরু করবে বলে জানানি তিনি।এসিএফ মেহেদীজ্জামান বলছেন, বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্মজাতীয় গাছ রয়েছে। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হবে।গত বছর ২৭ মার্চ থেকে পুরো এক মাস নাংলি ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী এলাকায় জাল পাতার সুবিধার জন্য অন্তত পাঁচ দফা পরিকল্পিত আগুন দেওয়া হয় বলে সে সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। মামলাও হয়েছিল।