লড়াইয়ে নামছেন ওমর সানি, অমিত হাসান, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কোবরারা। শুধু তাঁরাই নন, লড়াইয়ের মাঠে আছেন রোজিনা, অঞ্জনা, সুব্রত, আলীরাজ, নাদের খান, আহমেদ শরিফ, আরমান, রীনা খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, রিয়াজ, ফেরদৌস, বাপ্পারাজ, পপি, পূর্ণিমা, জেসমিন, ডন, ইমন, নিরব, সাইমনের মতো অনেক তারকাও।
তবে লড়াইটা নির্বাচনী। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২১টি পদের জন্য তাঁরা লড়বেন। আগামীকাল ৫ মে এই নির্বাচন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে চলচ্চিত্র তারকাদের প্রচার-প্রচারণা। ২১টি পদের জন্য ৫৮ শিল্পী নির্বাচন করছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এফডিসিতে ভোটগ্রহণ চলবে। চলচ্চিত্রের ৬২৪ জন সদস্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন মনতাজুর রহমান আকবর। যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা আগামী দুই বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তিনটি প্যানেল- ওমর সানি-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান এবং ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল।
সভাপতি পদপ্রার্থী ওমর সানি বলেন, ‘আমি সব সময় চলচ্চিত্রের পাশে ছিলাম, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে চাই। গত দুই বছর আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ছিলাম, সভাপতি ছিলেন শাকিব খান। তিনি যেহেতু শুটিংয়ের কাজে বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন, তাই আমি সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। চলচ্চিত্রশিল্পীরা সবাই জানেন আমি সবার সব ধরনের প্রয়োজনে পাশে থেকেছি। আর এবার সভাপতি নির্বাচন করছি, কারণ এখন আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের যে অবস্থা তাতে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আমি মনে করি সভাপতি হলে আমি কাজগুলো করতে পারব।’
অন্য প্যানেলে সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র সব সময়ই শক্তিশালী একটা অবস্থায় ছিল। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে আমাদের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। বিদেশিরা আমাদের মার্কেট ধরার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বিদেশি শিল্পীরা আমাদের এখানে এসে কাজ করে যাচ্ছে, আর আমরা বাংলাদেশের শিল্পীরা না খেয়ে মরছে। কেন এমন হচ্ছে, এসব বিষয়ে যদি আমরা এখনই সজাগ না হই তাহলে চলচ্চিত্র শিল্প থাকবে, কিন্তু শিল্পী থাকবে না। আমাদের প্যানেলটি করার পেছনে মূল কারণ দেশি চলচ্চিত্র রক্ষা। এ জন্য আমরা একজোট হয়েছি।’
আরেক সভাপতি পদপ্রার্থী ড্যানি সিডাক বলেন, ‘আমি সাধারণ শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের এই সমিতিতে ৬২৪ জন শিল্পী আছেন। তার মধ্যে কাজ করেন ৫০০ শিল্পী, কিন্তু টাকা পান মাত্র পাঁচ-সাতজন শিল্পী, বাকিদের কাজ করালেও তেমন কোনো টাকা দিতে চান না প্রযোজকরা। দেখা গেল, একটি ছবিতে একজন পাচ্ছেন ৪০ লক্ষ টাকা আর আমাদের সাধারণ শিল্পীরা হয়তো ১০ হাজার টাকার বেশি পাচ্ছেন না। এই শিল্পীরা মারা গেলেও কেউ খবর রাখেন না। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলে কেউ দেখতে যান না। আমি ওঁদের প্রতিনিধি হতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন শাকিব খান। আর সাধারণ সম্পাদক হন অমিত হাসান। ওই নির্বাচনে নায়ক ওমর সানী সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।