নতুন করে আরও দুই লাখ ৫০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসন করবে সরকার।এজন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি দ্বিতীয় দফা সংশোধন করে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক।মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে তিন হাজার ৬৭১ কোটি টাকা।প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। নতুন বরাদ্দের ফলে প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হবে চার হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।
এদিনের বৈঠকে আশ্রয়ণ-২ এর দ্বিতীয় সংশোধনীসহ মোট প্রায় পাঁচ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয়ের পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সব অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।একনেক সভার পর সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুম্তফা কামাল জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসিত করা হবে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে এক লাখ ৭০ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হবে।আর ৪০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৯২৬টি পাকা ব্যারাক, নয় হাজার ৩১টি সিআই শিটের ব্যারাক, এক হাজার ৭৮২টি পাকা ব্যারাক, তিন পার্বত্য জেলার নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫৮০টি বিশেষ ধরনের ঘর ও ২০টি টং ঘর এবং কক্সবাজার বিমান বন্দর সম্প্রসারণের জন্য সেখানে বসবাস করা চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য কক্সবাজারের খুরুস্কুল মৌজায় ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন, একটি টাওয়ার, একটি শুঁটকি মহল এবং একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য চারটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়াতে বাস্তবায়ন করা হবে।
এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (সিলেট জোন)’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ‘নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী থেকে সাগরদী বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।অন্যদিকে বাগেরহাট-চিতলমারি-পাটগাতি মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।এছাড়া ৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রযুক্তি সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।আ হ ম মুম্তফা কামাল বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে নারী ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে।এর বাইরে আইসিটির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আইসিটি ইকোপার্কের সিস্টেমে নারীর অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বাড়ানো হবে।