এলাকার সবার কাছে আদুরে মেয়ে সুমাইয়া। ‘অপহরণের শিকার’ হয়ে ২৫ দিন মা-বাবা ছেড়ে কেটেছে তার জীবন। ময়লা খাবারে দিন কাটানোর পাশাপাশি ছিল মারধর আর অত্যাচার। মেয়েকে ফিরে পেয়ে এসব কথাগুলো বললেন ‘অপহৃত’ শিশু সুমাইয়া আক্তারের বাবা।
২৫দিন পর মেয়েকে ফিরে পেয়ে আবেগ-অাপ্লুত হয়ে জাকির হোসেন বলেন , সুমাইয়া ঘুমাচ্ছে। মেয়েটা আমার কয়দিন ঘুমাতে পারিনি। ওরা খুব ভয় দেখিয়ে তাকে বলেছে, তার বাবা মা মারা গেছে, এখন থেকে ওদের সঙ্গেই থাকতে হবে। ফুটফুটে মেয়েটাকে এতোদিন ময়লা খাবার খেতে দিয়েছে, রোদে রোদে ঘুরিয়েছে। তিনি বলেন, তাকে কিভাবে অত্যাচার করা হয়েছে সবকিছু সে তার মায়ের কাছে সব বলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নেবে।
জাকির হোসেন বলেন, আমরা যে বাসায় থাকি সে বাসায় আগে থাকতেন অপহরণকারী অথৈ আক্তার বৃষ্টি। আমার মেয়েকে যেদিন ধরে নিয়ে যায় সেদিন বোরকা পড়ে এসেছিলো। আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর একবারও ফোনও দেয়নি আর কোনো মুক্তিপণও চায়নি। তাহলে কেন সুমাইয়াকে অপহরণ করেছে জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, আমি বার বার অপহরণকারী বৃষ্টির কাছে জিজ্ঞেস করেছি। সে শুধু একটা কথাই বলে, সুমাইয়াকে ভালো লাগতো তাই আমাদের কাছে রেখেছি।
গত ২ এপ্রিল বিকেলে কামরাঙ্গিরচরের বড়গ্রামে বাসার সামনে থেকে জাকির হোসেন ও মুনিয়া বেগমের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া নিখোঁজ হয়। মেয়ের খোঁজে সাধারণ ডায়েরি করার পর থানায় অপহরণ মামলা করেন সুমাইয়ার বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, একজন নারী সুমাইয়াকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোরে কদমতলীর একটি বাসা থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত অথৈ আক্তার বৃষ্টি ও তার বাবা সিরাজ মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।