হাওরে সব ফসল হারিয়ে সর্বশান্ত কৃষকÑ সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাওর অঞ্চলের কৃষকের পরিবারে এখন শুধুই হাহাকার। অনেক এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।তবে নেত্রকোণায় হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করে দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রতিমাসেই ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেয়া হবে। আগামী ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত কৃষকদের সহায়তা করবে সরকার।আর মঙ্গলবার সুনামগঞ্জে হাওরগুলোতে ৭দিন বন্ধ থাকার পর মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।তবে মরা মাছ না খেতে স্থানীয়দের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এদিকে, প্রায় ২৩ দিন ধরে স্থানীয়দের অক্লান্ত পরিশ্রমে টিকিয়ে রাখা ফসল রক্ষা বাঁধটি সোমবার ভেঙে যায়।এতে পানিতে তলিয়ে যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সর্বশেষ পাকনার হাওরের প্রায় ২২ হাজার একর জমির ধান।সর্বশেষ সুরক্ষিত হাওরটিও তলিয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত আশপাশের প্রায় ৪০ গ্রামের কৃষক। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদাররা সময়মতো কাজ শেষ না করায় ফসল রক্ষা হয়নি তাদের।
এছাড়াও পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় এবং মাছ মরে যাওয়ায় মৌলভীবাজারের অন্তত ৩৫ হাজার কৃষক ও জেলে পরিবারে এখন শুধুই হাহাকার। অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায় নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। হাওরাঞ্চলকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।হাওরবাসির জন্য ত্রাণ তৎপরতা বাড়াতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কমপক্ষে ১৫ হাজার হেক্টর জমির সোনালী ধান পানির নিচে। প্রতিদিনই পানি বাড়তে থাকায় অনেক এলাকার আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিকলী উপজেলার ৭ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমির বোরো ধান ও ৮০ হেক্টর জমির বাদাম তলিয়ে গেছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরগুলো ডুবে গেছে। এতে ধান-মাছসহ তিন খাতে ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া দুর্গত এলাকায় অন্যান্য ফসল, শাকসবজি, ফলমূল, গবাদি পশুসহ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০ শতাংশ। এতে দেশে বোরোর উৎপাদনের টার্গেট পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর অঞ্চলের ক্ষতি মোট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর প্রভাব পড়বে না।ওদিকে হাওর এলাকার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পরবর্তী ফসল ঘরে না আসা পর্যন্ত হাওর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা দেবে সরকার। পাশাপাশি থাকবে নানা প্রণোদনা। দেশের হাওর অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কৃষিঋণ আদায় স্থগিত করা হয়েছে সোমবার।
হাওরের আগাম বন্যা জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষত তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম। সংগঠনটির সদস্য সচিব আনিসুল ইসলাম জানান, হাওরে কাজ করার ক্ষেত্রে তার প্রায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। তিনি এবারের মতো এত বড় বিপর্যয় আগে দেখেননি। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তারা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে। তবে সরকারের কাছ নেয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে করা হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বন্যায় নষ্ট হওয়া ১০ লাখ টন চাল, ২ হাজার টন মাছ ও ১১ হাজার ৩০৫ টন গো-খাদ্যের বাজারমূল্য ধরে এ হিসাব বের করেছেন তারা।জানা গেছে, এপ্রিলের শুরুতেই ভারতের আসামে অতিবৃষ্টির পানি নেমে আসে ভাটিতে। ফলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় দেখা দেয় আগাম বন্যা। ওই বন্যার পানি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরগুলোকে প্লাবিত করে। হাওর প্লাবিত হওয়ার পেছনে বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি বা দুর্নীতি দায়ী কিনা- এমন প্রশ্নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি হওয়ায় এ প্লাবন হয়েছে। বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা সাড়ে ছয় মিটার। কিন্তু পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ১ মিটার। ফলে বর্তমান বাঁধগুলো উপচে পানি ঢুকছে হাওরে। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণেই আগাম বন্যা হয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুছ বলেন, এ মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে ১১৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার পর্যন্ত এর পরিমাণ ৮ হাজার ৯০৪ মিলিমিটার। যার স্বাভাবিক পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩ মিলিমিটার। ফলে সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত বছর এপ্রিলে বলতে গেলে এ সময় তেমন বৃষ্টিই হয়নি। ১ মে’র পর মূলত ওই মৌসুমের বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।
ওদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন। কিন্তু এর মধ্যে ছয় জেলার হাওরের দুই লাখ হেক্টরের বেশি জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার জমি থেকে এবার এক ছটাক ধানও পাওয়া যাবে না। ফলে কমপক্ষে আট লাখ টন ধান কম উৎপাদন হবে, যা উৎপাদনের মোট লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা শঙ্কা প্রকাশ করেন। হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের তথ্য অনুযায়ী ধানে মোট ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৩৯১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিলেটে ৪৫০, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৯৬৫, হবিগঞ্জে ৬৬১, নেত্রকোনা ৪৬৩, মৌলভীবাজার ২৪৬, কিশোরগঞ্জ ৬০০ এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় ৪ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, গত বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার টন। অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় মশুর, খেসারি, মরিচসহ নানা ধরনের রবিশস্য পানিতে নষ্ট হয়েছে।
তিন সপ্তাহ ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করেও পাকনার হাওরের বাঁধ রক্ষা করা গেল না। ধেয়ে আসা উজানের ঢলের ধাক্কায় ভেসে গেছে উড়াবন বাঁধ। একই সঙ্গে ভেসে যায় দেড় লাখ কৃষকের স্বপ্ন। সোমবার ভোরে কৃষকের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় পাকনার হাওর। ডুবে যায় ২২ হাজার একর জমির আধাপাকা বোরো ধান। আগের দিনই শনির হাওর ডুবে একই পরিমাণ জমির ফসল তলিয়ে গেছে।জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এখানে দুটি হাওর হালী ও পাকনা। ইতিমধ্যে হালীর হাওর তলিয়ে গেছে। পাকনার হাওর নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল। এ হাওর ছাড়া জেলায় আর কোনো বৃহৎ হাওর নেই। আমরা এ হাওরটির বাঁধ ও ফসল রক্ষায় কৃষকদের নিয়ে দিনরাত কাজ করেছি। রোববার থেকে ১৫০ জন শ্রমিক ও ৫০ জন পাহারাদারও নিয়োগ করা হয়েছিল; কিন্তু পানির তোড়ে সব শেষ।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাহিদুল হক জানান, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে হাওরটি ঝুঁকির মধ্যে ছিল। পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওরের বাঁধ ভেঙে যায়। পাকনার হাওরে ৯ হাজার হেক্টর বোরো ধান চাষ হয়েছিল। আর ১০ দিন পরই এসব ধান কৃষকের ঘরে উঠত। কিন্তু তা আর হল না। তিনি জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ হাওরের বোরো ধানই পানিতে তলিয়ে যাবে।পাকনার হাওরপাড়ে বসে হাবিবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, পাকনার হাওরের উড়াবন বাঁধে কাটিয়েছেন গত ১৫ দিন। দিনে এক বেলা খেয়েছেন, খুঁজে বেড়িয়েছেন ইঁদুর আর কাঁকড়ার ছিদ্র; যাতে কষ্টের ফসল পানিতে তলিয়ে না যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরে পিয়াইন নদীর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাঁধ। প্রবল বেগে পানি ঢুকে মুহূর্তেই তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ফসল। শুধু হাবিব নয়, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়ন আর দিরাই উপজেলার রাফিনগর ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের মানুষ ফসল বাঁচাতে তিন সপ্তাহ ধরেই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন এ বাঁধে।পাকনার হাওরের পার্শ্ববর্তী ফেনারবাগ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, পাকনার হাওরের গজারিয়া থেকে কান্দবপুর হয়ে কাওয়ার বাদা, কুলিয়া ধানা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ। আগে বাঁধটি বাস্তবায়ন করত জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু গত বছর দায়িত্ব দেয়া হয় দিরাই উপজেলা পরিষদকে। বাস্তবায়ন করে রাফিনগর ইউনিয়ন পরিষদ। ৪ জন (পিআইসি) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কাজ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামান্য মাটি ফেলেই বিল তুলে নিয়েছেন পিআইসিরা।
উপ-পরিচালক জাহিদুল হক বলেন, সুনামগঞ্জে বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমির বোরো ধান। এর মধ্যে হাওরে চাষাবাদ হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার হেক্টর জমি, যা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা না হলেও তিনি জানান, প্রতি হেক্টরে ১ লাখ টাকার ধান পাওয়া যেত। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আর কৃষকদের হিসাবে সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১২০টি হাওরে এবার কমপক্ষে সোয়া দুই লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে ফসল বাঁচাতে সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১২০টি হাওরের ৩ লাখ কৃষক আর ৮০ হাজার জেলে যে যুদ্ধে নেমেছিলেন তাতে পরাজিত হয়েছেন। যে কারণে তাদের আগামী এক বছর টানতে হবে দুঃখের ঘানি। সেই সঙ্গে পালিয়ে বেড়াতে হবে মহাজনদের ভয়ে।কথা হয় কৃষক হুমায়ুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাকনার হাওরে ১৫ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন।মহাজনের কাছ থেকে কার্তিক মাসে ঋণ নিয়েছিলেন ৪০ হাজার টাকা, যা ২০ হাজার টাকা সুদসহ পরিশোধ করার কথা ছিল জ্যৈষ্ঠ মাসে। ফসল তো এক মণও ঘরে তুলতে পারেননি। এখন কী দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। হুমায়ুনের প্রত্যাশা- হাওরের ফসল তো সবারই গেছে, হয়ত কিছুটা সদয় হবে মহাজন। আগামী বছর বোরো ফসল থেকে পরিশোধের প্রতিশ্র“তি দিতে হবে তাকে। না মানলে কী করবেন? এমন প্রশ্নে হুমায়ুনের উত্তর- ‘কি আর করমু, বাড়ি দিয়া দিমু।’ হুমায়ুনের মতো প্রায় সব কৃষকই এ ফসল আবাদ করতে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন স্থান থেকে। কেউ এনজিও আবার কেউ ব্যাংক আর কেউ মহাজনের কাছে দেড়গুণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে। কেউ কেউ বলছেন, এনজিও কর্মীরা এখনই বাড়িতে হানা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে দিতে পারেননি বলেছিলেন কিছু ধান কাটতে পারলে এ সপ্তাহে দেবেন কিন্তু এখন তো সবই শেষ। কিভাবে ছেলেমেয়েদের খাওয়াবেন এ চিন্তাতেই এখন ব্যস্ত তারা। সরকারি সহায়তাই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী এবার তাদের পাশে দাঁড়াবেন।