রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাশিয়ান দূতাবাসের পাশের ফুটপাত ঘিরে রাখা বেড়া এবং রাস্তাজুড়ে রাখা ফুলের গাছ সরানো হয়।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, আমরা এটাকে উচ্ছেদ বলব না। সড়ক এবং ফুটপাত আমরা উন্মুক্ত করছি।’ তিনি আরও বলেন, দূতাবাসগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা তাদের বুঝিয়েছি, এটা জনগণের রাস্তা। জনগণের ফুটপাত। এখান দিয়ে হাঁটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তারা বিষয়টি বুঝেছে।

দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টিও আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে মেয়র জানান। তিনি বলেন, সর্বাগ্রে জনগণের অধিকারের দিকে নজর দিতে হচ্ছে।রাশিয়ান দূতাবাসের পর সৌদি আরবের দূতাবাসের পাশে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। সৌদি দূতাবাসের সীমানাপ্রাচীরের পাশেও একইভাবে রাস্তা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। মেয়র আনিসুল হক আরও বলেন, এটা আমাদের অব্যাহত প্রক্রিয়া। দূতাবাসের যে তল্লাশিচৌকিগুলো রাস্তা দখল করে আছে, সেগুলোও সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।পাশের রাস্তা ও ফুটপাত আটকে বেশ কিছু স্থাপনা রেখেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেটিও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলে জানান মেয়র আনিসুল হক। তিনি জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থাপনাগুলো ছুটির পর সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে।ঢাকার গণপরিবহন সংকট লাঘবে বিদেশ থেকে যে চার হাজার বাস আনা হবে সেগুলো পরিচালনার জন্য সাতটি আলাদা কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়া পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

আনিসুল বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন, এই কাজটি করে দেওয়ার জন্য। আমি সেই অনুযায়ী (কাজ) করছি। কাজ শেষ হওয়ার পর এগুলো আর সিটি কর্পোরেশনের হাতে থাকবে না।সাতটি পৃথক হোল্ডিং কোম্পানি গঠন করে তাদের হাতে বাসগুলো দিয়ে দেওয়া হবে। আশা করছি, এ বছরই কিছু বাস আমরা নামাতে পারব।রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে অভিযান চলাকালে অনেক বাস মালিক বিভিন্ন বাস চলাচল বন্ধ রাখায় জনদুর্ভোগের মধ্যে বুধবার এক অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগে ঢাকায় নতুন করে ৪ হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনার কথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এ লক্ষ্যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি।ওই চার হাজার বাস আনার বিষয়ে পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এর মধ্যে ২৬টি বৈঠক হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার আনিসুল বলেন, “সবাইকে রাজি করানো কঠিন ছিল। কারণ এর পেছনে হাজার কোটি টাকার ব্ল্যাক মানি কাজ করছে।যারা এটা করছেন, উনারাই বলেন- ভাই, অনেক লোকের অনেক স্বার্থ আছে, যেটা বাংলাদেশে থাকে। আমরা বলেছি, তাদের স্বার্থ বেশি না দেশের স্বার্থ বেশি? মানুষ ভুগছে; আসুন আমরা সবাই মিলে কিছু একটা করি।