জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশে উদ্বোধন হচ্ছে বিশ্বজুড়ে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম পেপ্যাল। লেনদেন চালু করতে এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও পেপ্যাল চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করেছে। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। বিদেশে অর্জিত অর্থ দেশে আনতে দীর্ঘ দিন ধরেই পেপ্যাল সার্ভিস চালুর দাবি করে আসছে ফ্রিলান্সাররা। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০শে মার্চ সোনালী ব্যাংককে পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপর সেবাটি চালু করতে গত দু বছর ধরেই কাজ করছে সোনালী ব্যাংক ও পেপ্যাল। ওই সময় ওয়েবসাইটসহ অনলাইন অর্থ লেনদেনের প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। অন্যদিকে প্রযুক্তি দুনিয়ার আঁতুড় ঘর বলে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ঘুরে এসে বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন সম্ভাবনা আসছে বলেও জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্প্রতি তিনি সিলিকন ভ্যালিতে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মার্চের ৩১ তারিখ থেকে এপ্রিলের ২ তারিখ পর্যন্ত সিলিকন ভ্যালিতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে, ফেসবুক, গুগল, নুয়ান্স কমিউনিকেশন্স, পেপ্যাল-জুমসহ একাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। পেপ্যাল চালু হলে এর ৩ ধরনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিশ্বের ১শ’ ৯০টি দেশ ও ২৩টি মুদ্রায় অর্থ লেনদেন ও কেনাকাটা করতে পারবেন বাংলাদেশীরা। এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেবে না সোনালী ব্যাংক।
তবে মানি লন্ডারিং ঠেকাতে, গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া ট্রাভেল কোটার মধ্যে কেনাকাটা করতে হবে।