তিনদিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার সকালে এসে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে ভুটান ।প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে ভুটানের রাজধানীতে প্যারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগে এবং থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় তাঁকে আনুষ্ঠানিক খাদার (স্কার্ফ) উপহার দেয়া হয়।প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন।

বিমানবন্দর থেকে বর্ণাঢ মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে প্রধানমন্ত্রীকে লা মেরিডিয়ান থিম্পু হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভুটান সফরকালে এখানেই অবস্থান করবেন। সেখানে ভুটানের রয়েল প্রিভি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লিয়োনপো চেনকাব দর্জি তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক সরকারের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামীকাল ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে শুরু হবে।

বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে তাসিচোড জঙ্গ রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়া হবে। তাসিচোড জঙ্গ প্রাসাদের মূলফটকে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।ভুটানের রাজা জিগমে ন্যামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেটসান পেমার সঙ্গে ভুটানের রাজপ্রসাদে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত হবে।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পূর্বে দুই দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ, যোগাযোগ এবং ব্যাবসা-বাণিজ্য বিষয়ে ৬টি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। শেখ হাসিনা হেজো’তে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন।প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল তাঁর সম্মানে ভুটানের রাজা ও রানীর দেয়া এক ব্যক্তিগত ভোজেও যোগ দেবেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ৩ দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরবেন।