বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) রোপা আমন মৌসুমে চাষাবাদ উপযোগী বন্যা সহনশীলসহ উচ্চ ফলনশীল ধানের তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। শীঘ্রই নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর বীজ কৃষকদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য বাজারজাত করা হচ্ছে। নতুন উদ্ভাবিত ধানের এ জাতগুলো হচ্ছে- ব্রি ধান৭৯, ব্রি ধান৮০ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান৬। গত বুধবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় এগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন ধানের জাত হিসেবে চাষাবাদের অনুমোদন দেয়া হয়।
ব্রি’র প্রযুক্তি সম্পাদক ও প্রধান প্রকাশনা এবং জনসংযোগ বিভাগের আবুল কাশেম জানান, নতুন উদ্ভাবিত ওই তিনটি জাতের মধ্যে ব্রি ধান৭৯ এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এটি ১৮ থেকে ২১ দিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকলেও ফলনের তেমন ক্ষতি হয় না। আর এত দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে না পড়লে স্বাভাবিক অবস্থায় এটি হেক্টর প্রতি ৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এর জীবনকাল আকস্মিক বন্যা সহনশীল অন্য একটি জাত ব্রি ধান৫২ এর চেয়ে পাঁচ দিন আগাম।
ব্রি ধান৮০ এর বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সুগন্ধযুক্ত সরু চালের জাত এবং রপ্তানি সম্ভাবনাময়। এর দানার রং খড়ের মত এবং দেখতে এটি থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় জেসমিন ধানের অনুরূপ। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান৮০ এর ফলন হেক্টরে ৪.৫ টন থেকে ৫.০ টন পর্যন্ত পাওয়া যায়।
ব্রি হাইব্রিড ধান৬ এর ফলন হেক্টর প্রতি ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন। এটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোর অঞ্চলে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। আমন এবং বোরো উভয় মৌসুমে এটি চাষ করার উপযুক্ত। এ জাতের ধান গাছের কা- শক্ত বিধায় ঢলে পড়ার আশংকা নেই। এ জাতের জীবনকাল ১১৫ থেকে ১২০ দিন।