সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছে, তিস্তা চুক্তিও হবে। তিস্তা চুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার। এতে যেহেতু রাজ্যের বিষয় রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিল্লী সফরে গেছেন। দিল্লীতে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও থাকছেন। সেখানে তিস্তা ও অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনার আরও অগ্রগতি হবে। ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণ ছিলমহল বিনিময় হয়েছে। ছিটমহল শুধু বিনিময়ই হয়নি। আমাদের ৩৫টি ছিটমহলে ইউপি নির্বাচনও হয়েছে।

মন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সড়ক ও জনপথের পরিদর্শন বাংলো ’বন বিলাস’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওইসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, সওজ-এর তত্ববধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ছানাউল হক, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক লে.ক. নিজাম উদ্দিন আহমদ, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মো. মিজানুর রহমান ফকির, গাজীপুর সওজের উপ-সহকারি প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ভারত বিদ্বেষী প্রচারনা করে, ভারত বিরোধী প্রপাগান্ডা করে ভারতের কাছ থেকে প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের ন্যায্য পাওনা পাওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের মাঝে ২১বছর সম্পর্কটা খারাপ পর্যায়ে ছিল। অবিশ্বাস আর সন্দেহের দেয়াল উঠেছিল। সম্পর্ক খারাপ রেখে কোন ন্যায্য পাওনা পাওয়া যায় না। আমরা মনে করি সুসম্পর্কটা বজায় রেখেই আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে হবে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে, ভারতের সঙ্গে বৈরীতা করে আমরা আমাদের ন্যায্য কিছু পাব না। আমরা যেহেতু আমাদের বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। যে কারণে ৪১বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। এটা একটা কঠিন কাজ ছিল, চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল।

বিএনপি’র মহাসচিবের র‌্যাব বিলুপ্তির বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, র‌্যাব বিএনপি’র সৃষ্টি। স্বার্থে লাগলে নিজেদের সৃষ্ট সন্তানদের প্রতিও মায়া থাকছে না। আমার কাছে মনে হয়, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে র‌্যাবের কিছু সাহসী অভিযান এবং ভ’মিকা বিএনপি’র গাত্রদাহের কারণ।