প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই বলছে, এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অন্তত ২৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে বিশেষ করে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। এরই মধ্যে ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।

পিটিআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে রাজি নয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আর মমতা বন্দোপাধ্যায় কঠোরভাবে এ চুক্তির বিরোধীতা করে আসছেন। তার দাবি, তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পশ্চিমবঙ্গে পানির সংকট দেখা দেবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে অবগত এমন একজন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ‘এটা হবে পানি ইস্যুর বাইরে একটা সফর।’

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত তিস্তা নিয়ে কোনও সারপ্রাইজের ইঙ্গিত নেই। তবে কাল যদি এটা হয়, তাহলে আমাকে দোষারোপ করবেন না।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিষয়ক যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রাঙ্গানাথান বলেন, ‘এটা হবে খুবই বিশেষ একটা সফর। আশা করছি, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।’

শনিবার আনুষ্ঠানিক সফরের শুরুতেই শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে হায়দারাবাদ হাউসে। এরপরই রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মধ্যাহ্নভোজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও অংশ নিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছে পিটিআই।

৯ এপ্রিল কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এই নৈশভোজেও মমতা বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের এক সেমিনারে অংশ নেওয়ার পর ওই দিন বিকালেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।

পিটিআই