বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা কমান্ডার আবু ইউছুপ চৌধুরীকে জাল সার্টিফিকেট প্রদান, অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ফেনী জেলা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে আবু ইউছুপ চৌধুরী ও সহকারি কমান্ডার (অর্থ) মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছাগলনাইয়ার জমাদার বাজার মেইন রোড সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধাদের দোকান ভাড়া বাবদ অগ্রিম টাকা গ্রহন করে আবু ইউছুপ চৌধুরী। উল্লেখিত টাকার কাগজপত্রাদি ও কোন সন্ধান মিলছে না। ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঋন গ্রহনের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেন তিনি। এছাড়া অনেককে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির কথা বলে এক শ্রেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুর সিংহ নগর গ্রামের মো. ইছমাইল পাটোয়ারীকে ভাতা চালু, মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ দেয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সনদ নং- ২১১০১ ব্যবহার করে মৃত আবদুর রাজ্জাক চৌধুরীর ছেলে জালাল মিয়ার সার্টিফিকেটে মো. ইসমাইল পাটোয়ারিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট প্রদান করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে কমান্ডের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন অভিযোগের বিষয়টি গঠনতন্ত্রের ধারা-১৬(ছ) উপধারা-(১) (ক) (খ) (গ) ও (চ) অনুযায়ী এবং কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নীতিমালা-২০১২ এর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা কমান্ডারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। জেলা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান তাকে কারন দর্শানোর চিঠি প্রেরণ করলে তিনি কোন জবাব দেননি। তাই উপজেলা কমান্ডার আবু ইউছুপ চৌধুরী ও সহকারি কমান্ডার (অর্থ) মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কমান্ডার পদে সহকারি কমান্ডার (সাংগঠনিক) সিরাজুল হককে অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে।এর আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে তিনি অনিয়ম-দূর্নীতি না করার মুছলেকা দিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেন।