প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, প্রতিবেশী কোন দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি বাংলাদেশ এই অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে পালন করে যাচ্ছে। ঢাকা সফররত ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সফরের জন্য জেনারেল রাওয়াতকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিশেষ করে সেদেশের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন এবং সন্ত্রাস নির্মূল করা। তিনি পরমাণু শক্তি খাতে দু’দেশের সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এসময় ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখে আমরা আনন্দিত। দু’দেশের যৌথ সাইকেল অভিযাত্রার কথা উল্লেখ করে জেনারেল রাওয়াত বলেন, উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে আমরা গুরুত্ব দেই এবং সবকিছুই সমানভাবে দেখি। দেশের আকার এখানে কোন বিষয় নয়।’ বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মর্যাদা সকল ক্ষেত্রে সমান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা উপস্থিত ছিলেন।