মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও বিশেষ বাহিনী সোয়াটের ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাসিরপুর গ্রামের ওই জঙ্গি আস্তানার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন সোয়াট সদস্যরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বৃষ্টির মধ্যে এখনও থেমে থেমে গোলা-গুলি চলছে।

এর প্রায় ২০ কি.মি. দূরত্বে থাকা বড়হাট এলাকার অরেকটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপারেশন শুরুর আগে নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা থেকে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। সেখানে সোয়াত সদস্য ছাড়াও ঢাকার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ মৌলভীবাজারের আশপাশের জেলা এবং সিলেট রেঞ্জের বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার ভোর রাত থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামে আরও একটি বাড়ি ঘিরে রাখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। দুটি আস্তানাতেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-বিস্ফোরক আছে বলে তাদের ধারণা।

বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সোয়াট টিমের সদস্যরা নাসিরপুরে পৌঁছান। এরই মধ্যে ওই দুই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে আস্তানা দুটির ২ কিলোমিটার এলাকার জন্য এই আদেশ কার্যকর আছে। এরআগে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে দু’টি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড়হাটের ‍আস্তানার ভেতরে বিকট শব্দে তিনটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।

তবে দু’টি বাড়ির মালিকই লন্ডনপ্রবাসী সাইফুল রহমান। তিনি সপরিবারে লন্ডনে থাকেন। সাইফুলের বাড়ি দু’টি দেখভাল করেন আতিক নামে তার এক আত্মীয়। স্থানীয় জনতাকে নিরাপদ রাখার জন্য এলাকায় মাইকিং করেছে পুলিশ। বিকালে নাসিরপুরের ওই বাড়ির কাছে সিটি করপোরেশনের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, মই, জেনারেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এই অভিযানের জন্য সোয়াটই ‘যথেষ্ট’ বলে তিনি মনে করছেন। তবে প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।