ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করতে একটি চিঠিতে সই করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।চিঠিটি বুধবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটির আওতায় সই করা এ চিঠিটি দিয়েই মে ইইউ কে জানিয়ে দেবেন, তার দেশ আর ২৮ সদস্যের এই পরিবারে থাকছে না।ওদিকে, হাউজ অব কমন্সে এক বিবৃতিতে মে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ের সময় গণনা যে শুরু হয়ে গেছে তা এমপি’ দেরকে অবহিত করবেন এবং এ মুহূর্তে সবাইকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানাবেন। মে’র চিঠিটি নিয়ে যাবেন ইইউ এর ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত টিম ব্যারো।

ব্রেক্সিট আলোচনার সময় মে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি মানুষেরই প্রতিনিধিত্ব করার প্রতিশ্র“তি দেবেন। এদের মধ্যে আছে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকরাও। ব্রেক্সিটের পর যাদের ভাগ্যে কী হবে সেটি এখনও অনিশ্চিত। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষের জন্যই সঠিক একটি চুক্তি করতে মে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিবিসি।গতবছর জুনে এক ঐতিহাসিক গণভোটে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয় ব্রিটিশ নাগরিকরা।ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের পর যুক্তরাজ্যই প্রথম দেশ, যারা এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর কার্যকর হওয়া লিসবন চুক্তি ইইউর অন্যতম সাংবিধানিক ভিত্তি। চুক্তির আর্টিকেল-ফিফটিতে জোট ছেড়ে যাওয়ার নিয়ম-কানুন সংক্ষেপে বলা রয়েছে।আর্টিকেল ফিফটি অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোট ছাড়ার ইচ্ছা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পর বিচ্ছেদের দর কষাকষি শেষ করতে দুই বছর সময় পাওয়া যাবে। ওই সময়ে জোটের বাকি ২৭ দেশ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আলোচনায় বসবে।বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক কীভাবে এগোবে সেই দর কষাকষির আলোচনা করবে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের বাকি ২৭ দেশের সামনে তুলে ধরা হবে বিচ্ছেদের খসড়া চুক্তি।ওই চুক্তি কার্যকরের জন্য অন্তত ২০টি দেশের সম্মতি লাগবে, যারা ইইউর ৬৫ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুসমর্থন প্রয়োজন হবে সেই বিচ্ছেদ চুক্তিতে।