বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ উপলক্ষে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রায় ৩ হাজার বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। বিজিবি ২৬ প্লাটুন, র্যাব ১৭ প্লাটুন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ জন করে পুলিশসহ ষ্ট্রাইকিং ফোর্স এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের সদস্যদেরও নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
২৮ মার্চ থেকে নির্বাচনের পরের দিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।নির্বাচনে কোন সহিংস ঘটনা বা বিশৃংখলা যেন না হতে পারে সে জন্য পুরো নির্বাচনী এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব ও বিজিবিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচনী এলাকায় কঠোর নজরদারী করছে।কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড এবং ৯টি সংরক্ষিত আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ১০৩টি কেন্দ্রের ৬২৮টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।ভোট গ্রহণের জন্য ১০৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।রিটানিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, ৩০ মার্চ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আজ রাত ১২টার পর থেকে সকল প্রকার নিবাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ রাখার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।সোমবার রাত ১২টা থেকে কুমিল্লায় কাজে আসা সকল বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকায় না থাকার নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের জারিকৃত নির্দেশনা মোতাবেক আগামীকাল ২৯ মার্চ রাত ১২টা থেকে ৩০ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ২৭টি ওয়ার্ডে ১১৪ জন কাউন্সিলর এবং ৯টি সংরক্ষিত আসনে ৪০ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সিটি কর্পোরেশনে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫৬ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন।এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে। নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের মহিলা প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা এবং ধানের শীষ প্রতীকের পুরুষ প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে সাধারণের অভিমত।উভয় মেয়র প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে আগামীতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ আধুনিক নগরীতে পরিণত করবেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ২৯ দফা কর্মসূচি এবং বিএনপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ২৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে উভয় দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারভিযানে প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করছেন।