সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থকদের বিজয়কে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।শনিবার সকালে নিজের টুইটারে খালেদা জিয়া লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বিজয়ীদের অভিনন্দন। এ বিজয় ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে (২০১৭-১৮) সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৪টি পদের মধ্যে আটটিতে জয়ী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থক আইনজীবীরা। অন্যদিকে সহসভাপতি, সহসম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ছয়টি পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ-সমর্থক আইনজীবীরা। প্রধান দুটি পদসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সমিতিতে এবার আবার বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ পাওয়ায় সমিতির কর্তৃত্ব আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের হাতে ছিল। এবারের নির্বাচনে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল-সমর্থিত প্যানেল ছিল না। তবে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিজ নিজ সংগঠনের নেতাদের সমর্থন দেয়। সমিতির এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদসহ ১৪টি পদের মধ্যে মোট আটটি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থক আইনজীবীরা।অন্যদিকে সহসভাপতি, সহসম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ মোট ছয়টি পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থক আইনজীবীরা।

জয়নুল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আর খোকন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। প্রধান দুটি পদসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সমিতিতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের কর্তৃত্ব আবার প্রতিষ্ঠিত হলো। গত বছর সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ পাওয়ায় সমিতির কর্তৃত্ব আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের হাতে ছিল।এবারের নির্বাচনে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্যানেল ছিল না। তবে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিজ নিজ সংগঠনের নেতাদের সমর্থন দিয়েছে।

২২ ও ২৩ মার্চ সমিতির নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। নির্বাচনে ৫ হাজার ৮০ ভোটের মধ্যে ৩ হাজার ৯২৮ ভোট পড়ে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে নির্বাচন উপকমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মসিউজ্জামান ফল ঘোষণা করেন।নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জয়নুল আবেদীন ১ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু পেয়েছেন ১ হাজার ৮৯৫ ভোট। সম্পাদক পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মাহবুব উদ্দিন খোকন ১ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী রবিউল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪৬ ভোট।