গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ১০৯টি কেন্দ্রে একটানা ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে। শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।সুন্দরগঞ্জ সদরের বিডব্লিউ কলেজ কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোটাররা এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে। লাইন ধরতে হচ্ছে না।এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর মন্ডজানান, কেন্দ্রে মোট ভোটার চার হাজার ৫৪৭ জন। বেলা সাড়ে ৩টায় ভোট পড়েছে এক হাজার ৫০০টি।বাজারপাড়া কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৭৫৩ জন। বেলা ২টা পর্যন্ত পড়েছে আটশটি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য লিটন গুলিতে নিহত হলে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি শূন্য হয়।এ আসনের এমপি হতে ভোটের লড়াইয়ে আছেন সাতজন।তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ নৌকা’ প্রতীক ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শামীম হায়দার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।এছাড়া জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামানিক মশাল, জাতীয় পার্টির (জেপি) ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা সাইকেল’, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ‘মাছ’, এনপিপির জিয়া জামান খান ‘আম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন ‘আপেল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।