প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সম্মিলিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান প্রদর্শনী স্থানের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় প্যারেড স্কুয়ারে প্যারাট্রোপার সফলভাবে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন হালকা ও ভারি সমরাস্ত্র প্রত্যক্ষ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও সাহসিকতাপূর্ণ ঘটনা প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত আট বছরে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কর্মকান্ড স্টলে স্থান পেয়েছে। তিনি জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকান্ড এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান প্রদর্শনীতে তুলে ধরা তিন বাহিনীর স্টল ও প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন স্টলে স্থান পাওয়া সমরাস্ত্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মিগ-২৯ এবং মিগ-২১ যুদ্ধ বিমানের বর্ণাঢ্য এরোবেটিক শো প্রদর্শন প্রত্যক্ষ করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশিত সঙ্গীত ও নৃত্য উপভোগ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) মো, মাহফুজুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবর্গ, সচিবগণ, রাষ্ট্রদূতগণ, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৯ মার্চ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বেসামরিক লোকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ২৪ মার্চ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পযর্ন্ত সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনী আগামী ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এবং সামরিক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ২৯ মার্চ সাধারণ জনগণসহ ঢাকা মহানগরীর স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।